প্রতিবেদন : কড়া অবস্থান নিল হাইকোর্ট। রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে কেন, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। লক্ষণীয়, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের বকেয়ার অঙ্ক প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর, শহিদ ১ জওয়ান
এই টাকা দ্রুত মেটানোর জন্য কেন্দ্রকে বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরব হয়েছে রাজ্য। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে নির্বিকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘মনরেগা’ প্রকল্পে বাস্তবায়নের ত্রুটি খুঁজতেই ব্যস্ত কেন্দ্র। খাড়া করা হয়েছে শুধুই ভিত্তিহীন অসত্য অজুহাত। শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয় খেত মজদুর কমিটি। দায়ের করে জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে খেত মজদুর কমিটির আইনজীবী অভিযোগ করেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে ৪-৫টি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানো হলেও কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-যাত্রী সুরক্ষার গাফিলতি ঢাকতেই কি অন্তর্ঘাত তত্ত্ব? ডিআরএম-এর বক্তব্যে বাড়ল বিতর্ক, নিখোঁজ বহু
হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, কেন্দ্রের রিপোর্টেই ১০০ দিনের কাজে রাজ্যগুলির মধ্যে সেরা হয়েছে বাংলা। পুরস্কারও পেয়েছে। সেরার টাকা আটকে কেন? কেন্দ্রের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা স্পষ্ট। মামলার পরের শুনানি জুলাইয়ে।