প্রতিবেদন : রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। শুক্রবার রাতে এই অভিঘাতের তীব্রতায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালের একাংশ কার্যত লন্ডভন্ড। ১৬৫ জনের মৃত্যু ও বহু নিখোঁজের খবর আসছে। ভূকম্পনের উৎসস্থল নেপাল হলেও তার অভিঘাত থেকে বাদ পড়েনি দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ, এমনকী কলকাতাও। নেপালের এই ভয়ঙ্কর ভূকম্পন একরাশ প্রশ্ন আর বিপদে সংকেতকে উসকে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই দেশে বারবার কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিরাটের জন্মদিনে সিএবি দিচ্ছে সোনার ব্যাট, শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য, হিমালয়ের নিচে ভূকম্পন বলয় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার জেরে ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ তৈরি হতে পারে। যা উত্তর ভারতের জন্য নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক ও আশঙ্কার। বলা হচ্ছে, বর্তমানে বিপদসীমার মধ্যে রয়েছে হিমালয় পর্বতমালা। দুই পাতের সংঘাতে হিমালয়ের নিম্নভাগে মারাত্মক ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় মানহানির অভিযোগ
সেক্ষেত্রে উত্তর ভারতের সুরক্ষা নিয়েও বড় সংশয় তৈরি হতে পারে। এমনকী এর অভিঘাতে বদলে যেতে পারে পৃথিবীর মানচিত্রও। চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারতীয় পাত এবং ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলেই তৈরি হয়েছিল হিমালয় পর্বতমালা। ভারতীয় পাতের সেই উত্তর অভিমুখে এগিয়ে যাওয়াটা এখনও বন্ধ হয়নি। তাই হিমালয় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমুহূর্তে কম্পন লেগেই রয়েছে। কিন্তু সরাসরি যদি সংঘর্ষ হয় সেক্ষেত্রে কম্পনের তীব্রতা ৮ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভূতত্ত্ববিদরা। আর তা হলে নেপাল ও সংলগ্ন উত্তর ভারতের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী।