প্রতিবেদন : ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্তে ট্রাক টার্মিনাসগুলি পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য সরকার নিজের হাতে নেওয়ার পর গত আর্থিক বছরে ২০০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা, আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও, জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি এবং দার্জিলিংয়ের পানিটাঙ্কি— এই ৬টি ট্রাক টার্মিনাস থেকে পার্কিং ফি বাবদ মোট ২০৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এরমধ্যে সর্বাধিক ৬০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা পেট্রাপোল সীমান্তে। ওই জেলারই ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে ৫২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা পার্কিং ফি আদায় করা হয়েছে। বাঁকুড়ার মহদিপুর সীমান্তে ৩৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা উত্তরবঙ্গের হিলিতে ২১ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত থেকে ২১ কোটি টাকার বেশি চ্যাংড়াবান্ধায় কোটি টাকা এবং ফুলবাড়ি ট্রাক টার্মিনাস থেকে সাত কোটি ৬০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-যোগী-পুলিশের কীর্তি! দড়ি বাঁধা বন্দিকে নিয়ে মদ কেনায় ব্যস্ত
উল্লেখ্য, এর আগে পর্যন্ত স্থানীয় এজেন্সি এবং পুরসভাগুলি এই টার্মিনাসগুলি থেকে পার্কিং ফি আদায় করত। যা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিবহন দফতর সমস্ত ট্রাক টার্মিনাস গুলিকে নিজে হাতে নিয়ে সুনির্দিষ্ট হারে রাজস্ব আদায়ে শুরু করে। তারপরেই রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন-আগামী তিনদিন একাধিক রাজ্যে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
নবান্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই ট্রাক টার্মিনাসগুলি পরিবহণ দফতরকে নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। টার্মিনাস গুলি থেকে পার্কিং বাবদ ফি আদায় করার নির্দেশও দেন তিনি। এরপরেই নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য জুড়ে এই ধরনের সমস্ত টার্মিনাস অধিগ্রহণ করা হয়। ফলে গত 8 ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত ট্রাক টার্মিনাস থেকে পার্কিং ফি আদায়ের কাজ শুরু করে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। আর সেই রাজস্ব সরাসরি জমা পড়ে সরকারের কোষাগারে।