প্রতিবেদন : দেশের বিচার বিভাগের উপরেও বিজেপি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে বলে বিরোধীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন। আগেই দেখা গিয়েছে, রাম মন্দির মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার পরেই অবসর নেওয়া শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত করেছিলেন।
আরও পড়ুন-অমানবিক বিজেপি সরকার, বন্ধ করল ১০২ বছরের বৃদ্ধের পেনশন
ঘটনাচক্রে, এই রাম মন্দির রায়কে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার কাজে ব্যবহার করেছিল বিজেপি। ওই ঘটনায় বিজেপি ও বিচার বিভাগের মধ্যে আঁতাতের বিষয়টি নিয়ে সরব হয় বিরোধী শিবির। আর এবার এক অন্যরকম ঘটনা সামনে আসতেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কট্টর বিজেপি বিরোধী নেতা লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে পাঠানো বিচারক বিয়ে করলেন এক বিজেপি নেত্রীকে। বিশেষ সিবিআই আদালতের প্রাক্তন ওই বিচারক হলেন ৫৯ বছরের শিবপাল সিংহ।
আরও পড়ুন-এশিয়া কাপে পরীক্ষা? তোপ বেঙ্গসরকরের
বিচারক বিয়ে করতেই পারেন। কিন্তু পাত্রী নির্বাচনেই রয়েছে চমক। শিবপাল বিয়ে করেছেন বিজেপি নেত্রী ৫০ বছরের নূতন তিওয়ারিকে। দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। রাঁচী জেলা কোর্টের বিশেষ সিবিআই বিচারক হিসেবে শিবপালই লালুপ্রসাদকে দু’টি পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তার মধ্যে দুমকা ট্রেজারি মামলায় শিবপাল ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন লালুকে।
আরও পড়ুন-পুজো অনুদান বরাদ্দে বিজ্ঞপ্তি
পাত্রী নূতন গোড্ডা জেলা আদালতের একজন আইনজীবী। এলাকায় তিনি দাপুটে বিজেপি নেত্রী হিসাবেই পরিচিতি। অন্যদিকে শিবপাল গত তিন বছর ধরে গোড্ডার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হিসাবে কর্মরত। কয়েকদিন আগে দুমকার বাসুকিনাথ মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০০৬ সালে শিবপালের পত্নী বিয়োগ হয়। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে। অন্যদিকে, কয়েক বছর আগে দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারান নূতন। তাঁর একটি মেয়ে আছে। নূতন ও শিবপালের বিয়ে করার সিদ্ধান্তকে দুই পরিবারের সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, আগামী বছরই চাকরি থেকে অবসর নেবেন বিচারক শিবপাল।