বাতিস্তম্ভ মুড়ে ফেলা হচ্ছে ম্যাট দিয়ে

কলকাতা পুরসভাসূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দু’টি লক্ষ্য নিয়ে এই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, বিদ্যুৎস্তম্ভের সংস্পর্শে এসে দুর্ঘটনা রোধ।

Must read

প্রতিবেদন : বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানি রুখতে মহানগরীর সমস্ত বিদ্যুৎস্তম্ভ এবারে মুড়ে ফেলা হচ্ছে অ্যান্টি শক ইনসুলেটেড ম্যাট দিয়ে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে এই কাজ শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর ৮১ এবং ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এ-ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন বরো কমিটির চেয়ারপার্সন জুঁই বিশ্বাস। দক্ষিণ কলকাতার এই এলাকায় এই উদ্যোগে সাফল্য পাওয়া গেলে ভবিষ্যতে গোটা শহরের সমস্ত বৈদ্যুতিক স্তম্ভই এই অপরিবাহী ম্যাট দিয়ে আগাগোড়া মুড়ে ফেলা হবে।

আরও পড়ুন-এক পথে এগোবে দুই সংগঠন

কলকাতা পুরসভাসূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দু’টি লক্ষ্য নিয়ে এই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, বিদ্যুৎস্তম্ভের সংস্পর্শে এসে দুর্ঘটনা রোধ। দ্বিতীয়ত, হুকিং বন্ধ করা। বস্তি এবং ঘিঞ্জি এলাকার মানুষের সুরক্ষার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নারকেলবাগান এবং ঝালদার মাঠ–সহ কয়েকটি এলাকায় ৫০-৬০টি বিদ্যুৎস্তম্ভ এই ম্যাট দিয়ে আবৃত করার কাজ প্রায় শেষ। এরমধ্যে রয়েছে ত্রিফলা আলোকস্তম্ভও। ১১০০ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুতের অপরিবাহী নীল রঙের এই ম্যাট। লক্ষ্যণীয়, মাত্র কয়েকদিন আগেই হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্তম্ভে হাত লেগে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ১১ বছরের এক বালকের।

আরও পড়ুন-তথ্যচিত্রে উৎপল

অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ। ১০ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারপার্সন জুঁই বিশ্বাস জানালেন, ৮১ এবং ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে এমন কিছু ঘিঞ্জি গলি আছে যেখানে চলতে গেলেই গায়ে লেগে যেতে পারে বিদ্যুতের খুঁটি। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

Latest article