প্রতিবেদন : টার্গেট ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট। বুথওয়াড়ি ভোটের সেই লক্ষ্যমাত্রা ৫০ থেকে বেড়ে হতে পারে ১০০ শতাংশও। এই লক্ষ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিশ্বাস, এবার ৫০ শতাংশের বেশি ভোট আসবে ঝুলিতে। কোথাও কোথাও তা ১০০ শতাংশেও পৌঁছবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজে ১০০ শতাংশ মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
আরও পড়ুন-রিঙ্কুকে বিশেষ উপহার শাহরুখের
দলমতনির্বিশেষে এঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। ফলে নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকেই মানুষ বুঝেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখেন। এই কারণে যাঁদের কেউ কেউ গত লোকসভা নির্বাচনে অন্য জায়গায় ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা এইবার তৃণমূলকেই ভোট দেবেন। ফলে কোথাও কোথাও তৃণমূল বুথভিত্তিক ১০০ শতাংশ ভোটও পাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজকে সামনে রেখে তাই জেলাভিত্তিক বুথওয়াড়ি প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। মানুষের যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোটপ্রাপ্তির পাশাপাশি ৩০ থেকে ৩৫টি আসন পাবে তৃণমূল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আরও একবার স্পষ্ট করে দেন, আমাদের লক্ষ্য বুথভিত্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু আসনভিত্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।
আরও পড়ুন-ডার্বি ইস্টবেঙ্গলের
প্রতিটি বুথে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট পাব। ১০০ শতাংশ পরিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন পেয়েছেন। রাস্তা, আলো, জল, কর্মসংস্থান হয়েছে। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে কাজ করেছেন, তার প্রতিফলন ঘটবে প্রতিটি বুথে। সেই নিরিখে আমরা ৩০-৩৫টি আসন পাবই, তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি আমরা। তাঁর সাফ কথা, উন্নয়ন যদি মানুষের কাছে পৌঁছে থাকে, তাহলে আমরা তাঁদের ভোট পাব না কেন! সাংবাদিক বৈঠকের পাশাপাশি এই মর্মে তিনি এক্স বার্তায় জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল এবার বাংলায় ৩০ থেকে ৩৫টি আসন পাবে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এবার ৫৮ থেকে ৬২ শতাংশ ভোট নিশ্চিত তৃণমূলের। বিজেপির ভোট কমবেশি ৩০-৩২ শতাংশ। আর আসন ৫ থেকে ১১-র মধ্যে। বাম এবং কংগ্রেসের আসন শূন্য।