নদীভাঙন সমাধানে বাংলার সঙ্গে রয়েছে নেদারল্যান্ড

বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিদেশি প্রযুক্তি

Must read

প্রতিবেদন : সুন্দরবনের (Sundarban) নদীভাঙন সমস্যা নিরসনে সেচ দফতর নেদারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি বিস্তারিত প্রকল্প তৈরি করছে। যৌথ সমীক্ষায় সুন্দরবনের ৫৪টি দ্বীপের মধ্যে ৩৩টি দ্বীপকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রত্যেকটি দ্বীপের জন্য বাঁধ রক্ষা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দ্যেশ্যে পৃথক মাইক্রো প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের বিভিন্ন জেলায় মিষ্টি জলের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ও নেদারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া নদী, খালের সংস্কার, জলের লবণ নিয়ন্ত্রণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য চাষ ও কৃষির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করা, বায়ো ডাইভারসিটি রক্ষায় তাঁরা প্রয়োজনীয় সাহায্য করবেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে নয়া প্রযুক্তি দেবে নেদারল্যান্ডস সরকার। পাঁচ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে এই কাজ করা হবে। রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরকে ঘূর্ণিঝড় ও নদীভাঙনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ডাচ প্রযুক্তির ব্যবহার আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় রাজ্য সরকার। সুন্দরবন (Sundarban) দিঘার মতো উপকূলবর্তী এলাকা রক্ষা করতে কল্যাণীর রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রাজ্য সেচ দফতর নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে। গত বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নেদারল্যান্ড সরকারের সঙ্গে এই মর্মে রাজ্যের সেচ দফতরের চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাইলট প্রকল্পের আওতায় মৌসুনি দ্বীপের কাছে পাটিবুনিয়া এবং পাথরপ্রতিমার কাছে গোপীবল্লভপুরে ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এর পরবর্তী ধাপে অন্যান্য এলাকাতে এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্প্রতি দিল্লিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের ডাকা ওই বৈঠকে রাজ্যের সেচসচিব প্রভাত মিশ্রর পাশাপশি নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সুন্দরবন-সহ রাজ্যের উপকূল এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ড দেশটির বেশির ভাগ এলাকাই সমুদ্র সমতল থেকে নিচু। ওই সব এলাকায় জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসের জেরে যাতে সাগরের জল কৃষিভূমি বা জনবসতি কিংবা শিল্প এলাকায় ঢুকে না পড়ে তার জন্য সে দেশের অধিবাসী বা ডাচরা যে প্রযুক্তি কাজে লাগায় সেটাই এখন রাজ্য সরকার উপকূলবর্তী এলাকা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চাইছে।

আরও পড়ুন- রাজু ঝা খুনে জেলবন্দি আসামিকে সুপারি

Latest article