প্রতিবেদন : ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেষপর্যন্ত ইস্তফাই দিলেন বরিস জনসন। পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জল্পনায় রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের নাম। ঋষির আরেকটি পরিচয়, তিনি হলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই।
শুরুটা হয়েছিল মঙ্গলবার। ব্রিটেনের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। বুধবার পদত্যাগী মন্ত্রীর সংখ্যা হয় পাঁচ। যদিও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তখনও জানিয়েছিলেন, তিনি ইস্তফা দেবেন না। কিন্তু প্রবল চাপের মুখে নিজের জেদ ধরে রাখতে পারলেন না। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। ইস্তফার কথা ঘোষণা করে বরিস জানিয়েছেন, যতদিন না তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করছে ততদিন তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকতে চান।
আরও পড়ুন-বন্ধুকে দেখতে
পাশাপাশি এদিন আরও একটা প্রশ্ন উঠেছে ব্রিটেনের রাজনীতিতে। সেটা হল দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের নাম সবার আগে রয়েছে। ঋষি যদি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে তিনিই হবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, কনজারভেটিভ পার্টিও চাইছে বরিসের জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হোক ঋষিকে। ঋষি ছাড়াও প্রাক্তন মন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও সাজিদ জাভেদের নামও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন পদত্যাগের আগে দেওয়া ভাষণে বরিস বলেন, আমার কাছে এটা স্পষ্ট যে, আমার দলের সাংসদরাই আমাকে আর দলীয় নেতার পদে দেখতে চান না। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন তিনি যে সমস্ত কাজ করেছেন তার জন্য নিজেকে গর্বিত বলেও দাবি করেন বরিস।
আরও পড়ুন-নজরদারি বাড়াতে দেশের ৭৫৬ রেলস্টেশনে সিসিটিভি
মঙ্গলবার বরিস ঘনিষ্ঠ অর্থমন্ত্রী ঋষি পদত্যাগ করায় নতুন অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু নতুন অর্থমন্ত্রীও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে পদত্যাগ করেন। সব মিলিয়ে গত তিনদিনে বরিস সরকারের বিভিন্ন স্তরের ৫০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন। তারপরেই ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অস্থায়ী পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
বেশ কিছুদিন ধরেই বরিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এমনকী দলের মধ্যেও কিছুদিন ধরেই তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। যাঁরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদে টিকিয়ে রেখেছিলেন তাঁরাই একে একে মঙ্গলবার থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই এরপর বরিসের সামনে পদত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প আর কোনও রাস্তা ছিল না।