প্রতিবেদন : স্বস্তি দিয়ে সোমবার কিছুটা নিম্নমুখী হল করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের গণ্ডির নিচে নেমেছে। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৯১৫ জন। তবে উদ্বেগ বাড়িয়ে সংক্রমণ হার ২১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মারা গিয়েছেন আরও তিনজন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ২৪ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে। উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের করা সেন্টিনাল সার্ভের রিপোর্টে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের জন্য ভোট হচ্ছে না হাওড়ায়
মুখ্যত উপসর্গহীন করোনা রোগীদের খুঁজে বের করতেই এই সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষায় জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে ১১টি জায়গাকে বিপজ্জনক হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। হলুদ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা ও ৮টি জেলাকে। একমাত্র স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে পজিটিভিটি রেট ১ শতাংশের নিচে। স্বাস্থ্য ভবনের সেন্টিনাল সার্ভে সূত্রে খবর, বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই উপসর্গ নেই। তাঁরা অন্যান্য রোগের চিকিৎসা করাতে আসছেন হাসপাতালে। এবং সেখানে এসেই ধরা পড়ছে করোনা। কোনও কোনও জেলায় রয়েছে ২০% এর বেশি পজিটিভ রেট। একমাসে প্রায় ৯ গুণ সংক্রমণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন-বেটি বঁচাও স্রেফ ধাপ্পা : চন্দ্রনাথ
মে এবং জুন মাসের শেষে বিস্তর ফারাক রয়েছে সংক্রমণের সংখ্যায়। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বেশিরভাগই জ্বরে ভুগছেন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশ্বাসবাণী মানুষকে কিছুটা হলেও ভরসা জোগাচ্ছে। তাঁদের মতে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের যে স্ট্রেন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার মারণ ক্ষমতা কম। তাই রোগীর সংখ্যা বাড়লেও গুরুতর অসুস্থতা বা প্রাণহানির সম্ভাবনা কম।