প্রতিবেদন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি ভয় পাচ্ছে বলেই তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত নিম্নরুচির মন্তব্যের জবাবে সোমবার একথা বলেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শুভেন্দুর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-রায় জমিদারবাড়িতে প্রতিমা সোলার
বিরোধী দলনেতাকে এক হাত নেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ডাঃ শশী পাঁজার মতে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন শুভেন্দু। তাই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য তাঁর মুখে। এটা নারীশক্তির অপমান। তাঁর কথায়, বাংলার এটা সংস্কৃতি নয়। আমার মতো অনেকের সঙ্গে না মিলতে পারে। কিন্তু এত তলানিতে রাজনীতিকে নামাবেন না। এভাবে কোনও ব্যক্তিকে অপমান করার অর্থ নিজেকেও অপমান করা। একটা মানুষের এতটা যে বিকৃত মানসিকতা হতে পারে তা ভাবাই যায় না। আমরা ধিক্কার জানাই এই কুরুচিকর মন্তব্যের। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিম্নরুচির মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে এদিন আগাগোড়া আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন কুণাল।
আরও পড়ুন-জৌলুসহীন নিমতিতা রাজবাড়ির দেবীবন্দনা
চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি প্রশ্ন তোলেন, অভিষেকের দোষটা কোথায়? তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো বলে? ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, উকিলের ছেলে উকিল হলে কিংবা শিক্ষিকার মেয়ে শিক্ষিকা হলে তা কি অপরাধ? অধিকারী পরিবার থেকে এসে কেন এত হিংসা? এরপরেই কুণালের শ্লেষাত্মক মন্তব্য, অভিষেক তো বয়সে ১৫ বছরের ছোট। এখনই এত ভয়? তা হলে ১৫ বছর পরে দেখলে কী করবে? কুণাল মনে করিয়ে দেন, অভিষেক অনেক বড় নেতা। নিজেকে তৈরি করছেন। সেই কারণেই রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে পিতৃপরিচয় নিয়ে অত্যন্ত নিম্নরুচির মন্তব্য করা হচ্ছে তাঁকে উদ্দেশ্য করে।