দুয়ারে মহাভোজ থেকে রেকর্ড আয় পঞ্চায়েত দফতরের

পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, এই থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। দফতরের এই বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ লাখ টাকা।

Must read

সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজোয় দুয়ারে মহাভোজ থেকে রেকর্ড পরিমাণ আয় করল পঞ্চায়েত দফতর। পুজোর দিনগুলিতে পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ খাবারের ডালি নিয়ে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, এই থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। দফতরের এই বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন-স্টুডিওপাড়ায় পুড়ে ছাই গুদাম

স্বভাবতই সেই লক্ষ্যমাত্রা টপকে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে পুজোয় পঞ্চায়েত দফতরের দুয়ারে মহাভোজ মানুষের চাহিদা পূরণ করায় এই ক্ষেত্রে খাবার সরবরাহ করার এলাকা আরও বাড়ানোরও চিন্তাভাবনা করছেন পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা। এখন কলকাতা পুর এলাকার পাশাপাশি উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর, বরাহনগর এবং হাওড়ার শিবপুরের নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় এই খাবার ডেলিভারি করা হয়। পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ সংস্থা কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবারের পুজোয় মানুষের মধ্যে ঘরে বসে অর্ডার দিয়ে খাবার সংগ্রহ করার ব্যাপক আগ্রহ দেখে আগামীদিনে শহরতলি এলাকাতেও এই ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা করছেন দফতরের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন-অভিষেককে ক্লিনচিট পুলিশের

মহাষষ্ঠীর দিন থেকে প্রতিদিনই আয় বেড়েছে। প্রথমে ষষ্ঠীর দিন আয় ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯০ টাকা। সপ্তমীর দিন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯ টাকা, অষ্টমীতে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৩৯ টাকা, নবমীতে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৪৩ টাকা ও দশমীতে ২ লাখ ৮৯ হাজার ১৯ টাকা। দুয়ারে মহাভোজের এই খাবারের ডালি নিয়ে সিএডিসি’র পক্ষ থেকে শহরের কয়েকটি পুজো মণ্ডপে স্টলও খোলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট এই থেকে ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ২২২ টাকা পঞ্চায়েত দফতরের এবার আয় হয়েছে। এ-ছাড়া লক্ষ্মীপুজোর দিনও ৭৯ হাজার ২৫৯ টাকা দুয়ারে মহাভোজ পৌঁছে দিয়ে আয় করেছে পঞ্চায়েত দফতর।

আরও পড়ুন-সোনাজয়ী বাংলাকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

সিএডিসি’র অধিকর্তা সৌম্যজিৎ দাস জানান, ‘পুজোয় আমাদের খাবার অর্ডার দেওয়ার জন্যে মানুষের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। ফোনে হোম ডেলিভারির জন্য যেমন বুকিং হয়েছে তেমনি পুজো মণ্ডপে আমাদের স্টল থেকেও বহু মানুষ খাবার কিনেছেন। মানুষের চাহিদা পূরণ হওয়ায় আমাদের লক্ষ্যমাত্রাও টপকে গেছে। আগামীদিনে হোম ডেলিভারির এলাকা কীভাবে বাড়ানো যেতে তার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’

Latest article