সংবাদদাতা, হাওড়া : সামনের বছর ২০২৩ এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তাই পঞ্চায়েত এলাকায় রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলি আরও দ্রুত রূপায়িত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। গ্রামীণ এলাকায় ওই সমস্ত কাজকর্ম ঠিকঠাক রূপায়িত করতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়ের তত্ত্বাবধানে দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা নিরলস কাজ করে চলেছেন। এই ব্যাপারে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-শান্তিপ্রসাদকে জেরা
পঞ্চায়েত দফতরের কর্মচারী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে রাজ্যের প্রতিটি জেলা পরিষদ এলাকায় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ এই দু’মাসে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ৬৫৪০৩ জনের মধ্যে ৪৩ হাজার ২৮৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সকল সদস্য ও কর্মচারী হিসেবে নির্বাহী সহায়ক ও নির্মাণ সহায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহসভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ-সহ সমস্ত সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মচারী হিসেবে উপসচিব ও জেলা পরিষদের সমস্ত সদস্য অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন-সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে সরকার, ডামাডোল
এই প্রশিক্ষণে ১০০ দিনের কাজ-সহ মিশন নির্মল বাংলা, জনস্বাস্থ্য, গ্রামীণ আবাসন, স্বনির্ভর দল (আনন্দধারা) প্রকল্প এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মতো বিভিন্ন তহবিল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায় জানান, ‘‘এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির মূল উদ্দেশ্য ছিল ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলির দ্রুত রূপায়ণ এবং গ্রামীণ মানুষকে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনযাত্রার অনেক উন্নতি ঘটেছে। আমরা এই কাজকে আরও সুষ্ঠুভাবে ও দ্রুততার সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি।’’