প্রতিবেদন : বিভ্রাট থেকে কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছে না মেট্রো। মহানগরীর লাইফলাইন স্বীকৃতির দাবিদার যে মেট্রো। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সকালেই আবার গুরুতর বিভ্রাট। বিকল এসি। চলতি মাসে এই ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার। ক্ষুদিরাম স্টেশনের পরে এবারে নোয়াপাড়া। ট্রেন ছাড়তেই বন্ধ এসি। গভীর অস্বস্তিতে অফিসযাত্রীরা এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া পড়ুয়ারা। চলন্ত ট্রেনেই আচমকা বন্ধ হয়ে গেল এসি। ভিড়ঠাসা কামরায় দমবন্ধ করা পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন-ডার্বি হারের পরই ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ ইস্টবেঙ্গল
অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন যাত্রীরা। শেষপর্যন্ত ট্রেন দাঁড় করিয়ে সব যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় প্ল্যাটফর্মেই। সকাল ৮টা ৫২ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষগামী মেট্রো নোয়াপাড়া স্টেশন ছাড়ার পরেই বিপত্তি। এমনিতেই এদিন সকাল থেকেই বেশ গরম। আর্দ্রতাও বেশি। এই পরিস্থিতিতে অফিসটাইমের ভিড়ে এসি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয় অত্যন্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির। একটি কামরায় বিপত্তির শুরু। খবর পেয়ে দমদম স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর পরে ছুটে আসেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা। নেমে যেতে বলেন যাত্রীদের। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা এবং প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে শ্যামবাজার স্টেশনেও। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই এই বিভ্রাটের জন্য দায়ী করেছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন-বাঙালির পাতে ফুটবলই, বোঝা গেল ডার্বিতে
তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারতেন। ঘটতে পারত দুর্ঘটনা। বেলগাছিয়া পার হয়ে ট্রেনটি শ্যামবাজার প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আধিকারিকরা রেকে উঠে যাত্রীদের বলেন, এসি মেশিন সারানোর জন্য ট্রেনের সব যাত্রীদের নেমে যেতে হবে। যাত্রীরা রেক ফাঁকা করে দেওয়ার পরে রেকটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কারশেডে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে পরের ট্রেনটিও ছিল ভিড়ে ঠাসা। একেই অফিসটাইম, তার উপরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ। নিত্যযাত্রীরা তো বটেই, সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া পড়ুয়ারাও ব্যাপক অসুবিধের মধ্যে পড়েন। মেট্রোর জনসংযোগ দফতর অবশ্য দাবি করেছে, দ্রুত সামাল দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি। ১০টা ১৫ মিনিটের পর স্বাভাবিক হয় মেট্রো চলাচল। লক্ষণীয়, চলতি মাসের গোড়াতেই কলকাতা মেট্রোয় ঘটেছিল এমনই এসি বিভ্রাট। ক্ষুদিরাম স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পরপর ৩টি কামরার এসি।