আজ বৃহস্পতিবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে তৎপর নবান্ন। দলীয় স্তরে আগেই ‘দিদিকে বলো’ চলছে এবার শুরু করা হচ্ছে, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি। সেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’কে অভিযোগ জানাতে এদিন ফোন নম্বর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কথা রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন তিনি বলেন, ‘হয়ত সরকার সবটা করতে পারে না, সবটা হাতে থাকে না। কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কী আছে!পার্টির তরফে ‘দিদিকে বলো’ বলে একটি কর্মসূচি করা হয়েছিল। কিন্তু এটা রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচি নয়। অনেকটা একইধরনের পরিষেবা, তবে সরকারি পরিষেবা। বাংলার মানুষ সরাসরি ফোন করে, যাঁর যা অসুবিধা রয়েছে, তা আমাকে জানাতে পারবেন। নম্বরটি হল ৯১৩৭০৯১৩৭০। সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত এই লাইন খোলা থাকবে।’
আরও পড়ুন-হাতছানি দেয় চিমনি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘এতদিন অনেকে চিঠি লিখে, ইমেল করে আমার কাছে অভিযোগ জানাতেন। সেটা এবার আরও সহজ হল। মানুষের কথা শোনার জন্য আরও আধুনিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫০০ কল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের ১০০ জনের বেশি ফিল্ড কর্মী থাকবেন। প্রতিটি অভিযোগ সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন-রাশিয়ার বোমায় ভাঙল বাঁধ, স্রোতে বহু মৃত্যুর আশঙ্কা
এদিন ফের কেন্দ্রের তরফে বাংলাকে বঞ্চিত রাখার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা আমরা পাচ্ছি না। এখন কেন্দ্র এটা বন্ধ করে দিয়েছে। যখন চালু হবে, তখন আবার এটা করে দেওয়া হবে। নাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যখন আবার দিল্লিতে নতুন সরকার আসবে, তখন আমরা এই কর্মসূচি নেব। রাস্তার কাজের টাকাও (কেন্দ্রের থেকে) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা প্রায় ১ লাখ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছি বাংলায়। এবারও আমরা রাজ্য সরকারের তরফে টাকার অভাব থাকা সত্ত্বেও ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করছি।’
আরও পড়ুন-ফের বাংলাকে বঞ্চনা কেন্দ্রের
তিনি বলেন, ‘অভিযোগ এলে তা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি নিজেও পুরোটা তদারকি করব। যাঁরা সচিব রয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলছি… শুধু অভিযোগ এসেছে, সেটা জানালাম… এমন করে দিলে হবে না। সব দফতরের সচিবদের এটি দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। কোনও আবেদন আপনাদের কাছে গেলে, সেটি আপনার নীচুতলায় পাঠিয়ে দিলেই আপনার দায়িত্ব শেষ হবে না। নীচুতলায় অনেকেই চেষ্টা করেন, ফাইল ফেলে রাখার। সেটা আপনাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনাদের নজরদারি করতে হবে।’