‘ইমার্জেন্সি রোগীদের হাসপাতালের ভর্তির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে একটি মেকানিজম’, মুখ্যসচিবকে নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আজ বৈঠকে পাশে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই তাকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের ভর্তির ক্ষেত্রে মেকানিজম তৈরী করার নির্দেশ দেন।

Must read

আজ বৃহস্পতিবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি শুরু করলেন। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’কে অভিযোগ জানাতে এদিন ফোন নম্বর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যেই বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে হাসপাতালে ভর্তি বেশ কিছু আহত ব্যক্তি। আর আজ বৈঠকে পাশে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই তাকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের ভর্তির ক্ষেত্রে মেকানিজম তৈরী করার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন-‘বাংলার মানুষ সরাসরি ফোন করে, যাঁর যা অসুবিধা রয়েছে, তা আমাকে জানাতে পারবেন’, পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিন মুখ্যসচিবকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইমার্জেন্সি রোগীদের হাসপাতালের ভর্তির ক্ষেত্রে কিংবা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে একটি মেকানিজম তৈরি করুন।’

আরও পড়ুন-কথা রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই মর্মে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যাতে তাদের দাবি-দাওয়া অভাব-অভিযোগ জানাতে পারেন, সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গ্রিভান্স সেল ২০১৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত এখানে ২২ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯৮.২০ শতাংশ অভিযোগের সমাধান হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি অভিযোগ, ৭-১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়েছে।জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে মমতার পরামর্শ যাতে তাঁরা বিএসকে কেন্দ্রগুলিতে মাঝে মধ্যে পরিদর্শনে যান। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে, বিডিও ও স্থানীয় থানার আইসিরা যাতে আগে পদক্ষেপ করুন।’

আরও পড়ুন-হাতছানি দেয় চিমনি

এদিন থানার আইসিদের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘প্রথমে যখন ঘটনা ঘটে, তখন স্থানীয় থানার আইসিরা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু আইসি যদি তিন ঘণ্টা পরে যান, তখন ঘটনাটি অন্য রূপ নিতে পারে। থানার আইসিরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবেন। কিন্তু দুইজন পুলিশ নিয়ে চলে যাবেন, এটা যেন না হয়। দশটা গুন্ডা তৈরি হয়ে, পুলিশকে মারছে… এটা তো ভাল নয়। আপনার যা লোকবল রয়েছে, সেই লোকবল নিয়েই যেতে হবে। পরে প্রয়োজন হলে আরও লোক চেয়ে নেবেন।’

আরও পড়ুন-রাশিয়ার বোমায় ভাঙল বাঁধ, স্রোতে বহু মৃত্যুর আশঙ্কা

এদিন বিএসএফ-এর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, কালো টাকা উদ্ধারের নামে সীমান্তরক্ষী বাহিনী BSF রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামাঞ্চলে লুঠ চালাচ্ছে। বিএসএফ এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে লোকের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে। সাধারণের সামান্য জমানো টাকা গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করছে। নিয়ম মেনে কোনও সিজার লিস্টও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে ওই সব এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন বলে মত তাঁর। পুলিশকে এই বিষয়টির ওপর সক্রিয়ভাবে নজরদারির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন কোন জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে তার তালিকা তৈরি করে ফেরত দেওয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Latest article