প্রতিবেদন : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চক্রান্ত ফাঁস। বাংলায় (Break Bengal) তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে বঙ্গভঙ্গের গোপন ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। লক্ষ্য, বঙ্গভঙ্গ করে বাঙালির মাজা ভেঙে দেওয়া। এই তথ্যই ফাঁস করে দিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ‘লোকমত টাইমস।’ তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পরেই অপ্রস্তুতে পড়েছে বিজেপি সরকার। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাংলার শাসক দল ধরে ফেলেছে রাজনৈতিক চক্রান্ত।
সংবাদপত্রের সংবাদ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে বাংলা এবং বিহার বিজেপির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে না পারায় তার দিকেই লক্ষ্য। বাংলা (Break Bengal) এবং বিহারের বেশ কিছু জেলা ভেঙে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষ পদস্থ কর্তা জানাচ্ছেন, বিহারের কিসানগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার, পূর্ণিয়া অন্যদিকে বাংলার নিউ জলপাইগুড়ি ও সংলগ্ন কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ভাবনা শুরু হয়েছে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিহারের ৪০টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮০টি বিধানসভা আসন থাকছে। উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে সেই শীর্ষ পদস্থ কর্তা বলেছেন, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করতে। সম্প্রতী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিহারের কিষানগঞ্জ এবং বাংলার নিউ জলপাইগুড়ি ঘুরে গিয়েছেন। বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, এ সব জায়গায় নাকি শুধু অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছে। এই সব শোনার পরেই অমিত শাহর নির্দেশ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির। প্রশ্ন হচ্ছে, অনুপ্রবেশকারীরা যদি ভারতে ঢোকে তাহলে দায়িত্ব কার? বিএসএফ সীমান্তে বসে কোন কাজ করছে? অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র দফতর দেশের সর্বকালের অপদার্থ দফতর। তৃণমূল কংগ্রেস যথার্থ বলেছে, বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দেবেন এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে। বাংলা ভাগ করার চক্রান্ত রুখে দেবেন বাংলার মানুষ।
আরও পড়ুন-সতর্কিত উপকূল এলাকার বাসিন্দারা
কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের
প্রতিবেদন : বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। তৃণমূল মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুকৌশলে বিজেপি এই চক্রান্ত ছড়াচ্ছে। বাংলা-বিহার ভেঙে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বারবার রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হচ্ছে বিজেপি। তা সহ্য করতে না পেরেই এই চক্রান্ত, উসকানি। তৃণমূলের প্রশ্ন, বছর দেড়েক আগে বিধানসভা ভোট হল। কেন সেই ভোটে এই বঙ্গভঙ্গের কথা বললেন না? নির্বাচনী ইস্তাহারে সে কথা কেন চিল না? যদি তখন সেটা বলতেন, তাহলে যে ভোট পেয়েছেন তার একটা ভোটও পেতেন না। তৃণমূল কংগ্রেস এই চক্রান্তের মোকাবিলা করবে।