সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : রাজ্যের বিদ্যুৎসমস্যা মেটাতে বাম আমলে সাগরদিঘির মণিগ্রামে গড়ে ওঠে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে উৎপন্ন বিপুল পরিমাণ ছাই জমা হয় ‘অ্যাশ পন্ড’গুলোয় সেগুলো প্রায় সবই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই বর্তমানে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ এবং নিচু জায়গা উচু করার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী সরকারি নিয়মনীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছাই বিক্রির জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে তোলাবাজি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন-কর্মবিরতি উপেক্ষা করে শিবিরে কাজ করলেন সরকারি কর্মীরা
বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাধিক কর্মী জানান প্ল্যান্টের ভেতরে ছাই নিয়ে ব্যাপক তোলাবাজি চলছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র বিনা পয়সায় ছাই দিলেও সেই ছাই গাড়িতে লোড করতে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী গাড়ি-পিছু প্রায় ২ হাজার টাকা তোলা আদায় করে। অন্যদিকে ডাম্পারগুলো নির্দিষ্ট সীমার বেশি ছাই নিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ছে গ্রামীণ রাস্তাগুলো। ছাইয়ের গাড়ির ওভারলোডিংয়ের কারণে মণিগ্রাম, সামসাবাদ, হরহরি, জুগড়, পোপাড়া, ছামুগ্রাম, মিল্কি প্রভৃতি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম অসুবিধায় দিন কাটাচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘ওভারলোডিংয়ের সমস্যা রাজ্য প্রশাসন জানে। তাই পথশ্রী প্রকল্পে ৬টি রাস্তা পেয়েছে সাগরদিঘির একটি পঞ্চায়েত।’ সাগরদিঘির ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাগরদিঘিতে ওভারলোডিংয়ের সমস্যা নিয়ে আমরা অবগত। এর জন্য গ্রামীণ রাস্তাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি থানার ওসিকে জানানো হয়েছে।’