প্রতিবেদন : লোক হাসানোর ঝুঁকিটা আসলে নিতে চাইলেন না প্রধানমন্ত্রী (Modi- Kolkata)। ব্রিগেডে গীতাপাঠের আসর যে লোকের অভাবে মাঠে মারা যাবে সে খবর আগেভাগেই পৌঁছে গিয়েছিল অমিত শাহর কাছে। তাই লোকসভা নির্বাচনের মুখে অপদস্থ হওয়া থেকে বাঁচাতে নরেন্দ্র মোদিকে তিনি আসতেই দিলেন না কলকাতায় (Modi- Kolkata)। এটা ঘটনা, বঙ্গ বিজেপির উপরে আস্থা একেবারেই তলানিতে কেন্দ্রীয় গেরুয়া নেতৃত্বের। কিছুদিন আগে কলকাতায় অমিত শাহর সুপার ফ্লপ সভা দেখে তাদের বুঝতে বাকি ছিল না বাংলায় সংগঠনের দশা। বঙ্গ বিজেপি নেতারা মুখে যতই বুলি আওড়ান না কেন ব্রিগেডের একাংশ ভরানোর মুরোদও যে তাঁদের নেই তা টের পেয়েছিলেন শাহ। কারণ ধর্মতলায় ফ্লপ সভায় ভাষণ দেওয়ার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে সেদিন দিল্লিতে ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ২৪ ডিসেম্বর মোদিকে ঘিরে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই তাঁর কলকাতা সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত। গভীর অস্বস্তিতে বাংলার গেরুয়া শিবিরের মাথারা। এখানেই শেষ নয়, প্রশ্ন উঠেছে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কোটি কোটি টাকার উৎস কী? কে বা কারা জোগাচ্ছে এত টাকা? এত গীতা মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার খরচ তো বিশাল! এত টাকা পেলেন কীভাবে উদ্যোক্তারা? আসল উদ্দেশ্যটাই বা কী? সবমলিয়ে বিজেপি নেতাদের মিথ্যাচার এবার দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট হয়ে উঠল।