কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বন্‌ধ ভাঙচুর রাজ্যের সম্পত্তি

গণপরিবহণ এবং রাস্তাঘাটে লোকজন স্বাভাবিক। সরকারি-বেসরকারি অফিসে কাজ হয়েছে নিজস্ব গতিতে। প্রাণচঞ্চল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।

Must read

প্রতিবেদন : অবাক কাণ্ড! প্রতিবাদ কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে, অথচ বামেরা ভাঙচুর করল রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি। রেল-রাস্তা অবরোধ করে বাংলাকে অশান্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল। দ্বিতীয় দিনেও অবশ্য সেই চেষ্টা মাঠে মারা গেল বামেদের। তাঁদের যাবতীয় অপচেষ্টার নিট ফল শূন্য। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও সাধারণ মানুষ বন্‌ধের ডাককে রীতিমতো উপেক্ষা করে কর্মচঞ্চল করে রাখলেন নিজেদের। কলকাতা মহানগরী–সহ গোটা রাজ্য এদিনও ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন-দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের শঙ্কা

গণপরিবহণ এবং রাস্তাঘাটে লোকজন স্বাভাবিক। সরকারি-বেসরকারি অফিসে কাজ হয়েছে নিজস্ব গতিতে। প্রাণচঞ্চল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। সত্যি কথা বলতে কী, রাজ্যে যে বামপন্থীরা কোনও বন্‌ধের ডাক দিয়েছেন, সে-কথাও জানা ছিল না কর্মব্যস্ত বেশিরভাগ মানুষেরই। হাতেগোনা কয়েকটি জায়গায় গুটিকয়েক বামপন্থীকে জড়ো হতে দেখে অনেককেই মন্তব্য করতে শোনা গেল, ‘‘এরা আবার কোথা থেকে উদয় হল! ৩৪ বছর ধরে রাজ্যের সর্বনাশ করেও এদের শান্তি হয়নি।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের প্রতারণার রাজনীতি

এখন আবার নতুন করে গোলমাল পাকিয়ে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।’’ আসলে বন্‌ধে ব্যর্থতার লজ্জা ঢেকে নিজেদের তলানিতে এসে ঠেকা অস্তিত্বরক্ষার মরিয়া প্রয়াস এদিনও দেখা যায় বামেদের মধ্যে। মহানগরীর বাঘাযতীন মোড় অবরোধের চেষ্টা করেন বন্‌ধের সমর্থকরা। বেহালার শীলপাড়া থেকে তারাতলা পর্যন্ত মিছিলও করেন। বারাসত কলোনি মোড়েও যানবাহন আটকানোর চেষ্টা করেন বাম যুবকর্মীরা। তবে পুলিশি তৎপরতায় সুবিধে করতে পারেননি।

Latest article