দিঘায় জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ির রাস্তা হবে চার লেনের, পুরনো মন্দির ঢেলে সাজাবে রাজ্য

সেই সঙ্গে ভোগী ব্রহ্মপুরের মূল জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা চার লেনের করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

Must read

সংবাদদাতা, দিঘা : শুধু জগন্নাথ মন্দিরই নয়, এবার দিঘায় জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি আরও ভাল করে গড়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। সেই সঙ্গে ভোগী ব্রহ্মপুরের মূল জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা চার লেনের করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-গুজরাটের লেকে বোট উল্টে মৃ.ত ৬

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান। উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিলে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা এসেছিলেন। সেই সময় তিনি হেঁটে ওল্ড দিঘার জগন্নাথঘাটে জগন্নাথ মন্দিরে যান। মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেন। সেই মন্দিরকে মাসির বাড়ি করলে পুরোহিতদের কোনও আপত্তি আছে কিনা জানতে চান। আপত্তি না থাকার কথা জানালে মন্দিরে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় রথযাত্রা বড় করে করার সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, প্রথমে এখানেই মূল জগন্নাথ মন্দির গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সমুদ্রের একেবারে পাশে জায়গার অভাব ও কিছু টেকনিক্যাল অসুবিধার জন্য মূল মন্দিরটি ভোগী ব্রহ্মপুরে স্থানান্তরিত হয়।

আরও পড়ুন-রামমন্দির উদ্বোধনের দিন মদের দোকান বন্ধের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

এবার মূল মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত ৭ মিটার চওড়া রাস্তাটি ১৪ মিটারের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বছর রথযাত্রা ৭ জুলাই। তার আগেই চার লেনের এই রাস্তার কাজ সেরে ফেলবে রাজ্য পূর্ত দফতর। ২৩ জানুয়ারির মধ্যেই ডিপিআর জমা পড়বে নবান্নে বলে খবর। গত বৃহস্পতিবার পূর্ত দফতর, জেলা প্রশাসন, বন দফতর ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের একটি দল দিঘায় রাস্তাটি পরিদর্শন করার পরই এই সিদ্ধান্ত হয়। রাস্তার দুদিকে থাকবে চওড়া ফুটপাথ। পুণ্যার্থীরা সেখানে দাঁড়িয়ে রথযাত্রা দেখতে পারবেন। রাস্তায় যাতে সহজে রথ ঘোরানো যায়, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। সারা বছর দিঘায় প্রচুর পর্যটক থাকেন। এই মন্দিরটি হলে অতিরিক্ত বহু পুণ্যার্থী আসবেন। সব মিলিয়ে রথের সময় পুরীর মতোই জনস্রোত হবে দিঘাতেও বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

আরও পড়ুন-কালনায় চাষের কাজে কৃষি দফতর দিল সোলার পাম্প

প্রসঙ্গত, ২০১৮-র ডিসেম্বরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘায় হুবহু একটি মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২২-এর মে মাসে অক্ষয়তৃতীয়ায় ১৭ একর জমিতে শুরু হয় মন্দিরের নির্মাণকাজ। এ জন্য ২০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির নির্মাণের কাজ করছে হিডকো। কেননা আগামী এপ্রিলেই মন্দির উদ্বোধনের টার্গেট দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর মুখে‌ জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ির উন্নয়ন এবং রাস্তা চওড়া হওয়ার কথা শুনে বেজায় খুশি দিঘার পর্যটক মহল-সহ স্থানীয় বাসিন্দারাও।

Latest article