আলিপুরের পর দ্বিতীয় চিড়িয়াখানা নিউ টাউনে

হরিণালয়ে চিড়িয়াখানা তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেব্রা, জিরাফ ও জলহস্তীর আবাসস্থল তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : এখন কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ ইকোপার্ক। এবার সেই ইকোপার্ককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তার পাশেই গড়ে তোলা হচ্ছে এক পুরদস্তুর চিড়িয়াখানা। যেখানে দেখা মিলবে বাঘ, সিংহ থেকে শুরু করে জিরাফ, জেব্রা, গণ্ডার, জলহস্তী, মায় কুমিরেরও। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে নিউ টাউনে প্রায় ১২.৫ একর জায়গা জুড়ে ওই চিড়িয়াখানা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-শপিংমলে ঝাড়খণ্ডের আইনজীবীর থেকে মিলল ৫০ লাখ

নিউ টাউনের হরিণালয়কে পুরোদস্তুর চিড়িয়াখানায় রূপান্তরিত করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যেই এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর চিড়িয়াখানা আগেই স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জায়গার অভাবে সেই কাজ বেশি দূর এগোয়নি। এবার নিউ টাউনের এই চিড়িয়াখানাকেই ওই স্থানান্তরকরণ প্রক্রিয়ার অঙ্গ করে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ আলিপুর চিড়িয়াখানার বাঘ, সিংহ, গণ্ডার, জলহস্তী, কুমির, পাখি, জেব্রা, জিরাফের একটা বড় সম্ভারই উঠে আসবে এই নতুন চিড়িয়াখানায়।

আরও পড়ুন-তিন বিধায়কের টাকা নিয়ে আরও রহস্য, আগন্তুকের ব্যাগে কী ছিল

হিডকো সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিণালয়ে চিড়িয়াখানা তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেব্রা, জিরাফ ও জলহস্তীর আবাসস্থল তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। পাখিদের আবাসস্থলের বাকিটা সম্পূর্ণ হতে আরও এক মাস লাগবে। তবে মাংসাশী প্রাণীর আবাসস্থল প্রস্তুতির কাজ এখন আটকে আছে। কেননা, সেন্ট্রাল জু অথরিটি এই সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়। সেই অনুমোদন পাওয়া না গেলে নিউ টাউনের চিড়িয়াখানায় মাংসাশী প্রাণী এনে রাখা যাবে না।

আরও পড়ুন-হলদিয়ার টাটা স্টিলে জয়ী আইএনটিটিইউসি

সেন্ট্রাল জু অথরিটি অনুমোদন দিলেই মাংসাশী প্রাণীদের এনে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষ আশাবাদী আগামী ১ বছরের মধ্যেই সেই অনুমোদন তাঁরা পেয়ে যাবেন। তখন সেখানে বাঘ, সিংহ, চিতা এবং শ্লথ বা হিমালয়ান ভল্লুক এনে রাখা হবে। তখন এই ইকো পার্কের আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে। বাড়ানো হবে হরিণের প্রজাতি ও তাদের সংখ্যাও।

Latest article