প্রতিবেদন : বাম-রাম ও কংগ্রেসের গোপন আঁতাঁত এবার প্রকাশ্যে চলে এল। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে রাজ্যে একা কিছু করা সম্ভব নয় বুঝেই সিপিএম ও কংগ্রেসের শরণাপন্ন হল। রাজ্যের ৮০ হাজার বুথের মধ্যে খুব বেশি হলে ২০-২৫ হাজার বুথে প্রার্থী দিতে পারবে বিজেপি। বাকিটা শূন্য। তাই ক্র্যাচের মতো ভর করতে হচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেসের উপর। একদিকে কংগ্রেস, অন্যদিকে সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-তারে জমিন পর
শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির সিন্ডিকেট নেতারা চাইছে নিচুস্তরে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোট করতে। সম্প্রতি নন্দকুমারের একটি সমবায় সমিতিতে বাম-রামের জোট জয়ী হয়েছে। তা নিয়ে কমিশনও বসিয়েছে সিপিএম। আদি বিজেপি নেতারা বলছেন, সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা যায় না। কিন্তু তৎকাল ও সিন্ডিকেট বিজেপি নেতারা চাইছেন এই রামধনু জোট করতে। বিরোধী দলনেতাও নির্লজ্জের মতো সেই সুরে সুর মিলিয়ে বলছে ২০১১-র মডেলে ভোট হবে।
আরও পড়ুন-বিশ্ব কি শিশুর বাসযোগ্য?
এনিয়ে শনিবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এখন বিজেপি আর একা কিছু বাংলায় করতে পারবে না বুঝে গিয়েছে। সে কারণেই সিপিএম আর কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিয়ে সঙ্গে নিতে চাইছে। কিন্তু গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাখবেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেসই।