প্রতিবেদন : আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দরে পতন অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন সমীক্ষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তার রিপোর্টে আগেই জানিয়েছিল, আদানি গোষ্ঠী প্রতারণ করে কৃত্রিমভাবে শেয়ার দর বাড়িয়েছে। ওই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই যথেষ্ট বিপাকে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ট শিল্পপতি গৌতম আদানি। সরাসরি স্বীকার না করলেও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়াও বুঝিয়ে দিয়েছে শেয়ার বাজারে জালিয়াতি হয়েছে। এই জোড়া ধাক্কায় রীতিমতো কাত হয়ে গিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। প্রবল চাপে পড়ে ইতিমধ্যেই দালাল স্ট্রিট থেকে নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে আদানি গোষ্ঠী। একই সঙ্গে গৌতম আদানি জানিয়েছেন, শেয়ার হোল্ডারদের আর্থিক ক্ষতি রুখতেই তিনি বাজার থেকে আপাতত সব শেয়ার তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন-উদ্বোধনী ম্যাচেই মুম্বই বনাম গুজরাট
পাশাপাশি আদানি গোষ্ঠী এবার দ্বারস্থ হয়েছে মার্কিন অডিট সংস্থা গ্র্যান্ড থর্টনের। ওই সংস্থাকে দিয়েই তাঁর বিভিন্ন সংস্থার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গৌতম আদানি। সংস্থার এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক সূত্রে এই খবর মিলেছে। তবে গ্র্যান্ড থর্টনকে দিয়ে অডিট করানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেও সংস্থার শেয়ার দরে পতন রোখা যায়নি। মঙ্গলবারও বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম পড়তে থাকে।
আরও পড়ুন-গভীরতম নিকাশি কুয়ো তৈরি হচ্ছে খিদিরপুরে
এরই মধ্যে আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে কংগ্রেস। দলের নেত্রী নেত্রী জয়া ঠাকুর তাঁর আবেদনে বলেছেন, আদানিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রতারণার যে অভিযোগ উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তার তদন্ত হোক। কারণ আদানি গোষ্ঠী শুধু সংস্থার শেয়ার হোল্ডারদের সঙ্গেই প্রতারণা করেনি, তার জালিয়াতির প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থবাজারে। উল্লেখ্য, এর আগে আদানিদের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। ফলে এই মুহূর্তে আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে মামলার সংখ্যা বেড়ে হল তিন।