চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া: পূর্বস্থলী পুলিশের সাফল্য। তাদের তৎপরতায় ধরা পড়ল ছিনতাইকারী মহিলা গ্যাং। ধৃত ৬ জনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান ও মেলায় ভক্ত সেজে এরা ছিনতাই করত। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানান, মহিলা গ্যাংটির সঙ্গে আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-“স্বাস্থ্যসাথী কার্ডই প্রাণ বাঁচাল আমার, বাঁচিয়ে দিল আমার পরিবারকেও”
তীর্থক্ষেত্রে পর পর ছিনতাই হচ্ছে এমন খবর পুলিশের কাছে ছিল। চলছিল তল্লাশি। এরপরই পূর্বস্থলী ২নং ব্লকের জামালপুরের বুড়োরাজের মন্দিরে ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ভক্তদের ভিড়ে মিশে স্বপ্না বিশ্বাস নামে এক যুবতীর সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে চেপে চম্পট দেওয়ার সময়ই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গ্যাংটি। ধৃতরা হুগলীর ব্যান্ডেল এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জেরা করে পাণ্ডা-সহ পুরো গ্যাংটিকেই পাকড়াও করতে তৎপর। গোটা দেশে এই গ্যাংয়ের ৮টি শাখা কাজ করে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে যেটুকু তথ্য মিলেছে, তা হল, ওই দলের টার্গেট দেশের বড় বড় মন্দির আর মেলাগুলি। সেই তালিকায় রয়েছে জগন্নাথ মন্দির, কামাখ্যা মন্দির থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগর, প্রয়াগ, কুম্ভমেলার মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
আরও পড়ুন-ফোন হ্যাকিংকাণ্ড: ‘সীমাহীন সুবিধাবাদী’কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ কুণাল ঘোষের
পুলিশি জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, পূর্বস্থলীর বুড়োরাজের মন্দিরে একটি টাটা সুমোয় চেপে তারা আসে। এর মধ্যে এই গ্যাংটি আরও কোথায় কোথায় গিয়েছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। পূর্বস্থলীর জামালপুরের বুড়োরাজের মন্দিরে শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালতে আসা পুণ্যার্থীদের ব্যাগ, গয়না হাসিল করতে গিয়েছিল গ্যাংটি। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়ে পুরো দলটিই। এর আগেও বুড়োরাজের মন্দিরে এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তাই মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরো মন্দিরটাকেই সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে। সেইসঙ্গে মন্দিরে স্থায়ীভাবে সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে, তারজন্য তৎপর পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষ।