নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : মোদি জমানায় ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মলিন ছবি উঠে এল আন্তর্জাতিক সমীক্ষা-চিত্রে। বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উদযাপন ৩ মে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের হাল শোচনীয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বডার্সের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের স্থান ১৪২ নম্বরে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারত ১০০টি দেশের মধ্যেও নেই। সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা, কাজের পরিবেশ, আইনি বিষয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহে স্বচ্ছতা এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলা বা নিগ্রহের ঘটনা সহ বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেই এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার্লিন সফরে গিয়ে একাধিকবার ‘নতুন ভারত’ ও ‘উন্নত ভারতে’র কথা প্রচার করছেন। অথচ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভারতের মান ক্রমশই নিম্নগামী। বিরোধীদের কটাক্ষ, মোদির উন্নত ভারতে তাঁর সমালোচনা করলেই মিডিয়াগুলির স্বাধীনতার ওপর নানাভাবে হস্তক্ষেপ করা হয় ।
আরও পড়ুন-বন্দিজীবনে ইদ আনল একতার আনন্দ
করোনার সময়কালে সংসদে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের। তারপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও এখনও সমস্ত সাংবাদিকের জন্য সংসদের দরজা বন্ধই রয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বডার্স-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১০ সালে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের স্থান ছিল ১২২ নম্বরে, ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা হয় ১৩৩। ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক ১৪২। মোদি জমানায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক নিম্নগামী। সংস্থার দাবি, সাংবাদিকদের প্রতি যে ঘৃণা রয়েছে, সেটি ভারতের গণতন্ত্রের অন্যতম ক্ষতিকারক দিক।
আরও পড়ুন-চিকিৎসায় হাঁপানির নিরাময় সম্ভব
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে সংবাদমাধ্যমই প্রধানমন্ত্রীর হিন্দুত্বের আদর্শের সমালোচনায় কড়া হয়েছে তাকে দেশদ্রোহী বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করছেন সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। সেটাই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সমস্ত গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষকে এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটও ট্যুইট করেছেন, আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশেষভাবে প্রয়োজন।