সংবাদদাতা বারাসত : ২৭তম যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন হল বারাসতের কাছারি ময়দানে। মঙ্গলবার প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ২৭ বার ঘণ্টাধ্বনির মধ্য দিয়ে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমির সভাপতি অরূপ বিশ্বাস। ৩২ দিন চলবে এই উৎসব। মঙ্গলবার ও বুধবার বারাসতের কাছারি ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে দুটি যাত্রাপালা।
আরও পড়ুন-কলেজিয়ামের প্রস্তাব নিয়ে শঙ্কায় কেন্দ্র
২৬ জানুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতার বাগবাজারের ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অন্যান্য যাত্রাপালা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী তথা অনুষ্ঠানের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বারাসতের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দাস, সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী সহ অন্যরা।
আরও পড়ুন-জার্ভিসকে নিয়েই গোয়ায় ইস্টবেঙ্গল
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ৩৪ বছরে যাত্রাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ছিল বাম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের ছোঁয়ায় ও তাঁর জাদুকাঠিতে আবার স্বমহিমায় ফিরেছে যাত্রাপালা। বাম জমানায় যাত্রা উৎসব কবে হত, কখন হত, কয়দিন ধরে হত, মানুষ জানত না। দু’চারদিন ধরে হত। আর এখন এক মাসের বেশি সময় ধরে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ে যাত্রাশিল্পের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাম জমানায় বীণা দাশগুপ্ত স্মৃতি পুরস্কার ২০ হাজার টাকা দেওয়া হত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেটিকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করেছেন। এদিন ১০ জন বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন শান্তিগোপাল ও তপন কুমার স্মৃতি পুরস্কার। যার অর্থমূল্য ১ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই ১০৬ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বলেন, ৫ লক্ষ মানুষ যাত্রাশিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছে। আগে ৮০ জন যাত্রাশিল্পী ৬ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। বর্তমানে সেটাকে বাড়িয়ে হাজার জনের বেশি যাত্রাশিল্পীকে ২৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।