রাজ্যে একটার পর একটা বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানি। সোমবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন বাজি শিল্পে ক্লাস্টার গড়তে চাইছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘরের পাশে কাজ পান বলে অনেকে বাজি কারখানায় কাজে যান। সেই কারণে বিকল্প কাজের সুযোগ দিতে বাজি ক্লাস্টার (Cluster) গড়ার কথা বলেন তিনি। লোকালয় থেকে দূরে সরকারি এলাকায় সরকারি জমিতে হবে ক্লাস্টার।
আরও পড়ুন-কয়লা উত্তোলনের জন্য ইসিএল-কে জমি দেওয়া হবে, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে ফিরহাদ হাকিম জানান, রাজ্যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ প্রায়ই হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে, নিয়ম মেনে বাজি তৈরির বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই কারণেই ক্লাস্টার গড়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজি কারখানাকে বৈধ রূপ দিতে এমএসএমই, পঞ্চায়েত, দমকল, পুর, স্বরাষ্ট্র দফতর মিলে এই কমিটি তৈরি হবে। যাতে মানুষের রুজি-রুটি মার না খায় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-ইন্দাস: বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের পাশে অভিষেক, দেখা করলেন আহতদের সঙ্গেও
মন্ত্রিসভার বৈঠকের তিনি বলেন, মাঝে মধ্যেই বাজি কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যাঁরা কাজ করে তাঁদের যাতে পেটের ভাত না মারা যায় এবং এই শিল্প যাতে ভবিষ্যতেও বাঁচিয়ে রাখা যায়, সেই কারণেই আইনের সমস্ত দিক বজায় রেখে এই ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। আগামী দুমাসে কোথায় কোথায় এই ক্লাস্টার তৈরি করা যায়, কতজন কাজ পেতে পারে, কী কী নিয়ম মানতে হবে। এই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে কমিটি। যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গ্রিন বাজি উৎপাদন হবে। লোকালয় থেকে দূরে সরকারি জমিতে ওই ক্লাস্টার গড়া হবে। ক্লাস্টার তৈরি হলে নজরদারি নিয়মিত হবে। সে ক্ষেত্রে বেআইনি বাজি তৈরি বন্ধ করা যাবে বলে আশা ফিরহাদের।