প্রতিবেদন : আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখছে রাজ্য। রাজ্যে বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের আয় বেড়েছে। বেড়েছে রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিএসডিপি। ফলে ৩৪ বছরের বাম আমলের চাপিয়ে দেওয়া ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেয়ে ক্রমশ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। বিধানসভায় পরিসংখ্যান দিয়ে মঙ্গলবার এ কথা তুলে ধরলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে খেলোয়াড়দের খাওয়ার ব্যবস্থা শৌচালয়ে!
এদিন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকারের খোলা বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের সুযোগ বাড়াতে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালের আর্থিক শৃঙ্খলা ও বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি সংশোধনী নিয়ে আসে। এই সংশোধনী আইনে পরিণত হলে রাজ্য সরকার রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের চার শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকই রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর ছাড়পত্র দিয়েছে।
আরও পড়ুন-হাতির খবর দিতে নিয়োগ হচ্ছে গজমিত্র চালু হচ্ছে অ্যাপও
তবে ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা বাড়লেও রাজ্য বাজার থেকে বেশি ঋণ নেবে এমন কোনও কথা নেই। অর্থমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র অনুযায়ী রাজ্য সরকার চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ৬ মাসে বাজার থেকে ৬১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারত। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ নেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ায় রাজ্যের ঋণের বোঝাও কমেছে। ২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যর ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের শেষে এই ঋণের পরিমাণ হতে পারে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি। এর আগে বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী সদস্যরা রাজ্যের বেহাল আর্থিক অবস্থার অভিযোগ তুলে সভায় সরব হন।