সংবাদদাতা, নরেন্দ্রপুর : বর্ষাকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন চত্বরে জল জমা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এমনও দেখা গিয়েছে প্রায় ১৫ দিন কেটে গেলেও জমা জল বের করা সম্ভব হয়নি। এমনকী বর্ষাকালে ক্লাসরুমেও জল ঢুকে যায়। ফলে বন্ধ রাখতে হয় ক্লাস। পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে। আশ্রমের ভিতরকার চাষের জমিও জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে যেত ফসলও। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মিশন কর্তৃপক্ষ রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন-উপাচার্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে
আশ্রম পরিদর্শনে আসেন দফতরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা। আশ্রম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তৈরি হয় বর্ষাকালে জমা জলনিষ্কাশন এবং ভুগর্ভে জলের পুনঃপ্রবেশ-সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের। বৃহস্পতিবার আশ্রম প্রাঙ্গণে সেই প্রকল্পটির সূচনা হল। এই প্রকল্পের ফলে বর্ষাকালে জমা জল থেকে রেহাই মিলবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভূগর্ভে জলস্তর বৃদ্ধি পাবে।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের সূচনাতে উপস্থিত ছিলেন দফতরের মন্ত্রী ডাঃ মানস ভুঁইয়া, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, জেলাশাসক পি উলগানাথন, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সর্বলোকানন্দজি মহারাজ-সহ বিশিষ্টজনেরা। এই প্রকল্পের খরচ ৮৮ লক্ষ টাকা। দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে জানান মন্ত্রী। জানা গিয়েছে এলাকার সোনারপুর, গড়িয়া, বারুইপুর অঞ্চলকেও অচিরে জমা জল থেকে মুক্তি দিতে একাধিক পরিকল্পনা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।