প্রতিবেদন : আরেক মানবিক উদ্যোগ রাজ্যের। রাজ্যের সমস্ত মূক ও বধির শিশুদের মুখে কথা ফোটাতে উদ্যোগী হল মানবিক সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূক ও বধির শিশু প্রতি চিকিৎসায় ২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের শ্রবণ ও বাকশক্তি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি যেসব শিশু কথা বলতে পারে না তাঁরা বিনামূল্যে ককলিয়া যন্ত্র দেওয়া হবে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন। তিনি জানান এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকারি বরাদ্দ ও ককলিয়া যন্ত্রের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন – আট মাসের শিশুর জীবন ফেরাল এসএসকেএম
তিনি জানান এতদিন ১০০ জন শিশুর পরিবার আবেদন করলে মাত্র ৫ জন এই সুবিধা পেতেন। এখন আবেদন করলেই এই সুবিধা মিলবে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন, ২৭টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এরমধ্যে যেকোনও একটি সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেই হবে শিশুর চিকিৎসা। স্বাস্থ্যভবনের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস এই ককলিয়া যন্ত্র দেবে। শিশুর পরিবার চিকিৎসার জন্য পেয়ে যাবে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। এই টাকার মধ্যে থাকবে ককলিয়া যন্ত্রের ৬ লক্ষ টাকাও। বাংলায় জন্মগতভাবে মূক ও বধির শিশুদের সংখ্যা অনেক। বাংলাকে মূক ও বধির শিশু-শূন্য করতে এই উদ্যোগ রাজ্যের। প্রতি বছরই শতাধিক শিশুর অভিভাবকরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কৃত্রিম অন্তঃকর্ণ বা ককলিয়া যন্ত্রের জন্য আবেদন করত। কিন্তু এতদিন ধরে সেই যন্ত্র দিত কেন্দ্র সরকার। কিন্তু যা চাহিদা ছিল, সেই পরিমাণ যন্ত্র দিতে পারত না কেন্দ্র। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়ে মূক ও বধির শিশুদের খরচের ভার নেন।