প্রতিবেদন : দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে কলেজিয়াম। গত কয়েকদিন ধরে এই কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে একটা বিতর্ক চলছে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু কলেজিয়াম ব্যবস্থার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। সম্প্রতি কলেজিয়াম ব্যবস্থার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে কলেজিয়াম ব্যবস্থার মূল্যায়নে সম্মত হলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন-২০ নভেম্বর থেকে গ্রামে গ্রামে চাটাই পেতে সভা, বিজেপির খবর দিন, পরে নেব ধাপে ধাপে
ওই আবেদনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বদলে পূর্বতন ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিশন বা এনজেএসি ফেরানোর কথা বলা হয়। এনজেএসি প্রথায় বিচারতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই প্রথার অবলুপ্তি ঘটায়। পরিবর্তে বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থা চালু করে। আইনজীবী মহল থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের অনেকেই মনে করছেন, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার বিচারবিভাগে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। নিজেদের পছন্দের বিচারপতিকে বিভিন্ন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করতে চাইছে সরকার। সে কারণেই আইনমন্ত্রী কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বারেবারে সরব হয়েছেন।
আরও পড়ুন-তেল, গ্যাসের মতো লাগামছাড়া ওষুধের দাম, নাজেহাল মধ্যবিত্ত
কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে অস্বচ্ছ বলেও মন্তব্য করেছেন রিজিজু। আবেদনকারী অ্যাডভোকেট ম্যাথুস জে নেদুমপারা-সহ অন্য আইনজীবীরা আদলতে বলেন, ২০১৫ সালে শীর্ষ আদালতের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিশন বাতিল করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ইচ্ছাকে কোনও মর্যাদাই দেয়নি। ওই বেঞ্চ যেভাবে সংবিধানের ৯৯ তম সংশোধনীকে খারিজ করেছিল তা মেনে নেওয়া যায় না। আবেদনকারীদের দাবি, ২০১৫ সালে সাংবিধানিক বেঞ্চের দেওয়া রায়টি খারিজ করা উচিত। কারণ ওই নির্দেশ কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির ইঙ্গিতেই ইডির চক্রান্ত, দাবি হেমন্ত সোরেনের
কলেজিয়াম ব্যবস্থা স্বজনপ্রীতি এবং পক্ষপাতিত্বের সমার্থক। ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ১৯৯৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারপতির এক বেঞ্চের নির্দেশেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এভাবে একটি রায়কে রিট পিটিশনের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ জানানোয় প্রধান বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করেন। আবেদনকারীদের দাবি, বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া উচিত।