চায়ের দোকান রাজনীতি ও সাধারণজ্ঞানের পাঠশালা

চায়ের দোকান যেন রাজনৈতিক পাঠশালা। মাজদিয়া রেল স্টেশনে ডাউন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছলেই বোঝা যায় কারণ। ৬১ বছরের গিরিধর বিশ্বাসের চায়ের দোকান

Must read

সংবাদদাতা, নদিয়া : চায়ের দোকান যেন রাজনৈতিক পাঠশালা। মাজদিয়া রেল স্টেশনে ডাউন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছলেই বোঝা যায় কারণ। ৬১ বছরের গিরিধর বিশ্বাসের চায়ের দোকান। দোকানের দেওয়ালে ভারতের ১৯৪৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীদের কার্যকালের সময় ও নাম। রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম। মনীষীদের ছবিও। এই দোকানের আরেক বৈশিষ্ট্য গরিব মানুষ পয়সা দিতে না পারলেও চা-পান থেকে বঞ্চিত হন না।

আরও পড়ুন-মমতাজির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক, বললেন রাহুল

সাহিত্যিক থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, আনাগোনা অনেকের। এখন বহু দোকানে বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীর পোস্টার থাকছে। গিরিধর চায়ের দোকান ব্যতিক্রম। বহু স্কুল বা কলেজ পড়ুয়ারাও দোকানে আসে জ্ঞান ঝালিয়ে নিতে। এভাবেই গিরিধরদা ২৬ বছর দোকান চালাচ্ছেন। ভোররাতেই দোকান খুলে ফেলেন। ডাউন শিয়ালদহ যাত্রীদের চা দেওয়ার জন্য। ভোর চারটে থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলে কাজ। জানালেন, প্রতিদিন ১৫ লিটার দুধের চা করেন। প্রায় শ’চারেক মানুষ চা খেতে আসেন। দোকান শুরু নিয়ে জানালেন, একবার কলকাতায় চা খেতে প্রবল ইচ্ছে হয়। পকেটে টাকা ছিল না। কেউ চা দেয়নি। পরে চায়ের দোকান করে ঠিক করি, গরিবগুর্বোদের বিনা পয়সায় চা খাওয়াব। আজও সেভাবেই চলি। দোকান থেকে অন্নসংস্থান হয়ে যায়। যে ক’দিন আছি এভাবেই চলব।

Latest article