প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির কর্মিসভা থেকে ঐক্যের বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আনুগত্য ভাল, কিন্তু অপদার্থদের আনুগত্য মানা হবে না। দল যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে বা যাঁরা পদ পেয়েছেন তার মানে এই নয় যে, দলের পুরনোদের বা যাঁরা পদে নেই তাঁদের দূরে রেখে নিজের পছন্দের লোকদের নিয়ে চলবেন। দল এটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না।
আরও পড়ুন-বিধাননগরে প্রকৃতি উৎসবে ফুল, পাখিদের মেলা
এই ভাষাতেই এদিন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন খেজুরিতে দলের কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুণাল বলেন, দল একটা কাঠামো করে দিয়েছে। সেটা এখনই এভাবে বদলানো সম্ভব নয়। অভিমানে যাঁরা দূরে সরে আছেন তাঁদেরও সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানান কুণাল। কুণাল বলেন, ধাপে ধাপে সবার সঙ্গে বসা হবে। সবার কথাই শোনা হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা সম্ভব তা করা হবে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক। আপনাদের সমস্যার কথা তাঁরাও জানেন। সেটা যাতে তাড়াতাড়ি মেটানো যায় আমি সেই কাজে আপনাদের সহযোগিতা করতে এসেছি। সবার কাছে অনুরোধ, কাউকে পছন্দ হতে পারে আবার নাও হতে পারে। খেয়াল রাখবেন এটার কোনও বহিঃপ্রকাশ যেন না হয়। নতুন কেউ পদে এসে পছন্দের চারজনকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটবেন এটা চলতে পারে না। সবমিলিয়ে খেজুরির কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার ডাক দেন।
আরও পড়ুন-বাংলার দুয়ারে সরকারকে আজ দিল্লির বুকে কেন্দ্রীয় সম্মান, মোদি সরকারের ট্র্যাজেডি!
তিনি আরও বলেন, খেজুরির বুথ কর্মীদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা এখানকার সমস্যার সমাধান করে দলকে আবার লিড দিতে পারব। এদিন খেজুরির একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আসরেও যান কুণাল। সেখানে দর্শকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সময় ওঠে সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ভিড়ের মধ্যে দু’একজন অন্য স্লোগানও দেন। কুণাল ডেকে তাঁদের সঙ্গে করমর্দন করেন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। জবাবে তাঁরাও পাল্টা শুভেচ্ছা জানান।