শুধুই বুথে নয়, ভোটের বুথের বাইরের যে কোনও ধরনের গোলমাল, গুণ্ডামিও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তাৎপর্যপূর্ণ রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এম এল শাহের ডিভিশন বেঞ্চ৷ প্রায় ৩২ বছরের পুরনো এক মামলায় এই রায় দিয়েছেন দুই বিচারপতি৷
শীর্ষ আদালত বলেছে, ভোটদানে গোপনীয়তা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। নাহলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়না৷ তাই বুথ দখল এবং ভোট জালিয়াতি, বুথের বাইরে ভোটার স্লিপ ছিনতাই, ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়ার মতো অপরাধ কড়া হাতে দমন করতেই হবে৷
আরও পড়ুন-আজ বিকেলেই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, দেখে নেওয়া মঙ্গলবারের কর্মসূচি
৩২ বছর আগে বিহারের নির্বাচনে বুথের বাইরে হুজ্জতি, ভোটার লিস্ট, ভোটার স্লিপ ছিনতাই ঘটনা ঘটে। নিম্ন আদালত, হাইকোর্টের পর সেই মামলাতেই শুক্রবার সাজা ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের দেওয়া সাজা বহাল রেখে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এক্ষেত্রে ৬ মাসের জেল আইনিভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত।
সাধারণত নির্বাচন চলাকালীন বুথের মধ্যে গন্ডগোল নিয়ে একাধিক আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির বিধান আছে। কিন্তু বুথের বাইরে গন্ডগোল হলে কী হবে, সেই বিষয়টিকে এবার গুরুত্ব দেওয়া হলো৷ এই নির্দেশের ফলে দেশে আগামীদিনে ভোটে গন্ডগোল হলে আরও কড়া হাতে মোকাবিলার অস্ত্র পেয়ে গেল পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-অসম-মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষ : ক্ষোভ ও শোকপ্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ভোটদানের স্বাধীনতা আসলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা৷ সেই স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেওয়া যায়না। জনগণের ইচ্ছেই প্রতিফলিত হয় নির্বাচনে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলা হলেও তা আদতে কতটা মানা হয় তা নিয়ে বারবার চর্চা হয়েছে। বুথ দখল ও ভোট জালিয়াতি কড়া হাতে দমন করতেই হবে৷ কারণ এমন ঘটনা আইনের শাসন ও গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতেই হবে। গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনই সংবিধানের অন্যতম মূল ভিত্তি। লোকসভা, বিধানসভার মতো সাধারণ নির্বাচনের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে।