প্রতিবেদন, নয়াদিল্লি : আগামী বছরের গোড়াতেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন । ঠিক তার আগেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শাসক ও বিরোধী-দুই দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবারের অধিবেশন।
আরও পড়ুন-‘সমস্ত ভোগ করে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড তৈরি করেছে শুভেন্দু’ নন্দীগ্রামে তোপ কুণাল ঘোষের
ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলি কী কী বিষয়ে আলোচনার দাবি জানাবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, বিরোধীদের আলোচনার মুখ্য বিষয়গুলির মধ্যে থাকছে মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোজ্য তেলের দাম, কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের উপরে জঙ্গি হামলা, লখিমপুরে কৃষক হত্যা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন-ছট পুজো উপলক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
আসন্ন অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও অসমে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর তীব্র বিরোধিতা করা হবে।দেশ এখনও করোনা সংক্রমণ মুক্ত না হওয়ায় সংসদের কর্মী ও সাংসদদের যাবতীয় করোনাবিধি অনুসরণ করেই অধিবেশনে যোগ দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-সকল রাজ্যবাসীকে ছট পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-র নেতৃত্বে অধিবেশন নিয়ে বৈঠকে বসেছিল সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রকের ক্যাবিনেট মন্ত্রক। সেই বৈঠকেই স্থির করা হয়, ২৯ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর অবধি শীতকালীন অধিবেশনের আয়োজন করা হবে।এর আগে বাদল অধিবেশনে বিরোধীরা পেগাসাস ইস্যুতে সরব হয়েছিল। গোটা অধিবেশন জুড়েই তারা সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের উপর বেআইনিভাবে নজরদারি করার অভিযোগ আনে।
এছাড়াও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেও সরব ছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু মোদি সরকার গঠনমূলক আলোচনায় রাজি না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়।