প্রতিবেদন : একুশ বছরের রবি বিষ্ণোই জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিকেই তাঁর ক্যাপ্টেনের দরাজ সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন। যা পরের ম্যাচে আত্মবিশ্বাস যোগাতে পারে।
ঠিক কী বলেছেন রোহিত শর্মা? এটাই যে, রবির হাতে অনেক বৈচিত্র্য আছে। যা দেখে তাঁর খুব ভাল লেগেছে। রোহিতের কথায়, ‘বিষ্ণোই খুব প্রতিভাবান। তার জন্যই ওকে ভারতীয় দলে নিয়ে আসা হয়েছে। ওর মধ্যে প্রচুর স্কিল আর বৈচিত্র্য আছে। আমরা এটা দেখেছি।’
আরও পড়ুন-প্রথম প্র্যাকটিসে নার্ভাস ছিলাম, চাহাল টিভিতে বিষ্ণোই
বুধবার ইডেনে প্রথম ম্যাচে যোধপুরের তরুণের শুরুটা হয়েছিল কয়েকটা ওয়াইড দিয়ে। কিন্তু প্রান্ত বদল করতেই এল সাফল্য। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ১৭ রানে দুই উইকেট। ক্যারিবিয়ানরা তাঁকে ধরতেই পারেননি। বরং নাজেহাল হয়েছেন রবির গুগলিতে।
আইপিএলের সুবাদে বিষ্ণোই কিছুটা পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন আগেই। সাফল্যও পেয়েছেন আইপিএলে। কিন্তু রবির যাত্রাপথ মোটেই সুখের ছিল না। রাজস্থানের জুনিয়র দলের ট্রায়ালে বাদ। শিক্ষক-বাবার পড়াশুনো নিয়ে কিছুটা চাপ। কিন্তু কোচ শাহরুখ খান ছাত্রের পিছনে পড়ে ছিলেন। কেরিয়ারের শুরুতে মিডিয়াম পেস বল করা রবিকে তিনি বোঝান, এত ছোট শরীরে জোরে বল হবে না। তার থেকে বরং স্পিন চলতে পারে। তখনই রবির রং ওয়ান অর্থাৎ গুগলিটা নজরে চলে এসেছিল কোচের। পরে আইপিএলের হয়ে খেলার সময় অনিল কুম্বলে আরও ঘষামাজা করে দেন। রবি সেটা কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন-ঈশানের গেম টাইম বাড়াতে চান রোহিত
কলকাতায় প্রথম টি২০ ম্যাচে রবি উদয়ের পর রোহিত আরও বলেছেন, ‘বিষ্ণোই ম্যাচের যে কোনও পরিস্থিতিতে বল করতে পারে। এটা আমাদের সামনে অনেক সুযোগ খুলে দিচ্ছে। আমরা অন্য বোলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বল করাতে পারছি।’ প্রথম ম্যাচে তিনি যে রবির বোলিংয়ে খুব খুশি, সেটা স্পষ্ট জানিয়েছেন অধিনায়ক। রোহিতের বক্তব্য হল, ‘ওর সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে। এখন আমরা বিষ্ণোইকে কীভাবে ব্যবহার করি, সেটাই দেখার।’