রেলের কাছ থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি, পাশে ছিল রাজ্য, নিহতদের পরিবার প্রবল ক্ষুব্ধ

লাশের স্তূপ হাতড়ে মৃতদেহ খুঁজে আনতে হয়েছে পরিবারকে। ওঁদের পাশে দাঁড়াতে রাতেই যান পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : ট্রেনে উঠে শুক্রবার বাড়িতে ফোন করেছিলেন মনজুর আলি মণ্ডলে। পূর্বস্থলীর নিমদহের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পরও মনজুর বাড়িতে জানান, ‘বেঁচে আছি। তবে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ তারপর আর যোগযোগ করা যায়নি। বেজে গিয়েছে মোবাইল। শেষে জানা যায়, কটকের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বাড়ির লোকেরা পৌঁছনোর আগেই সব শেষ।

আরও পড়ুন-মৎস্যজীবীদের জন্য নতুন রাস্তা

বাড়ির লোকজন জানালেন, কুরবানি পরব ভাল করে উদযাপনের জন্য বাড়তি রোজগারের আশায় কেরলে যাচ্ছিলেন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতে। লাশের স্তূপ হাতড়ে মৃতদেহ খুঁজে আনতে হয়েছে পরিবারকে। ওঁদের পাশে দাঁড়াতে রাতেই যান পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। আর্থিক সাহায্য-সহ অন্য সাহায্যেরও হাত বাড়িয়ে দেন। মন্তেশ্বরের রাইগ্রামের বাসিন্দা মৃত শরিফুল শেখের পরিবার রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল। ভাগ্নে শাহরুখ জানাল, ওড়িশা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে দেহ নিয়ে আসি খড়্গপুরে। হাজার দশেক টাকা খরচ হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ বা ওখানকার প্রশাসন কোনও সহযোগিতা করেনি। উল্টে খড়্গপুর থেকে দেহ বাড়ি আনার গাড়িভাড়া দেওয়া থেকে সবরকমের সহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার। শরিফুলের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানালেন বিধায়ক-মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি।

Latest article