চেন্নাই, ৮ এপ্রিল : ধোনির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তিনি অনেক বেশি ট্যাকটিকাল হতেন, যাতে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে পারেন। গম্ভীরের নেতৃত্বে সিএসকেকে হারিয়েই ২০১২-তে প্রথমবার আইপিএল জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আরও পড়ুন-দলীয় সাংসদের পুলিশি হেনস্থায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবিতে সময় চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
চিপকে সোমবার কেকেআর মুখোমুখি হয় সিএসকের। তার আগে স্টার স্পোর্টসকে কেকেআর মেন্টর গম্ভীর বলেন, মাঠে তাঁর ও ধোনির মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল। কারণ, তাঁরা দু’জনেই জিততে চাইতেন। গম্ভীরের কথায়, আমি সবসময় জিততে চাইতাম। মনের দিক থেকে আমি পরিষ্কার ছিলাম। বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা সব ঠিক থাকবে, কিন্তু মাঠের মধ্যে আমি ছিলাম কেকেআরের অধিনায়ক। ধোনি সিএসকের। যদি ধোনিকে প্রশ্ন করেন, ও নিজেও একই উত্তর দেবে। আসল ব্যাপারটা ছিল জয়। তবে এমএস ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। মনে হয় না কেউ ওর পর্যায়ে যেতে পারবে। তিনটি আইসিসি ট্রফি জিতেছে ধোনি।
আরও পড়ুন-ইদের জন্য বাতিল হয়ে গেল ১৮টি এক্সপ্রেস ট্রেন
গম্ভীর আরও জানান, আইপিএলে ধোনির সঙ্গে লড়াইয়ের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি উপভোগ করেছেন। কারণ, ধোনির মধ্যে ট্যাকটিকাল মাইন্ডসেটের ব্যাপার ছিল। গম্ভীরের কথায়, ধোনি ট্যাকটিকাল দিক থেকে খুব ভাল। কীভাবে স্পিনারদের ব্যবহার করতে হবে বা তাদের জন্য কেমন ফিল্ডিং সেট করতে হয়, সেটা জানে। ও কখনও হাল ছেড়ে দেয় না। ছয় বা সাতে ব্যাট করতে নামত এবং আমরা জানতাম যতক্ষণ ধোনি আছে, ম্যাচ ফিনিশ করে আসতে পারে। শেষ ওভারে যদি ২০ রান দরকার থাকে, তাহলেও আমরা জানতাম ধোনি জিতিয়ে দিতে পারে। আর আমি এটাও জানতাম সিএসকেতে ধোনির হাতে যে বোলিং রয়েছে তাতে যে কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। আমি ভাবতাম মাঠে সব বিভাগে ওকে টেক্কা দিতে হবে। খুব আক্রমণাত্মক না হলেও ধোনি কখনও হাল ছেড়ে দিত না। আর চেন্নাই এমন একটা দল, যাদের বিরুদ্ধে শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত জয় নিশ্চিত হত না।