পাথরের এই দেব আমাদের শাশ্বত জীবনের পথিক

আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে, কৃষকের আরাধ্য দেবতা শিব। সেই শিবকে যোগ, ধ্যান আর শিল্পকলার দেবতাও ধরা হয়। এ-ছাড়াও শিব চিকিৎসাবিদ্যা, কৃষিবিদ্যারও আবিষ্কারক। শিবমূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল শিবের তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল আর বাদ্য ডমরু। শিবকে ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পুজো করা হয় এখনও। পাথরের এই দেব, আমাদের শাশ্বত জীবনের পথিক, লিখছেন রাধামাধব মণ্ডল

Must read

ভগবানের প্রকৃত অর্থ গায়ে মেখে রয়েছেন। তিনিই ভগ আর বানের মিশ্রিত রূপ, নীলকণ্ঠ। যে-কারণে আমাদের সমাজে শিবলিঙ্গ নির্মাণ করে পুজো করার ঐতিহ্যটিও সুপ্রাচীন এবং ঐতিহ্যের। সে-সময় শিবলিঙ্গ নির্মাণে নর্মদা নদীর মসৃণ ডিম্বাকৃতির পাথরই উপযোগী ছিল। তাই তিনি পাথরের দেবতা। অর্থবেদের একটি শ্লোকে একটি স্তম্ভের প্রশংসা করা হয়েছে। এই শ্লোকটিই সম্ভাব্য লিঙ্গপুজোর সূত্রপাত বলে ধরা হয়। বত্রিশ বন্ধ ঘরের ঐতিহ্য ধরা রয়েছে শিবলিঙ্গের সঙ্গে। গৃহশান্তিও করা হয় শিবলিঙ্গের যজ্ঞ করেই। এ-যেন শিব ঠাকুরের আপন দেশ! শিবই সত্য।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিরোধীদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে

পঞ্চোপাসনা
আমরা যাকে হিন্দু ধর্ম বলি, সেই ধর্ম মূলত প্রধান পাঁচটি ধারায় বিভক্ত। বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, সৌর আর গাণপত্য। একে পঞ্চোপসনাও বলা হয়। পঞ্চোপসনার মূলকথা হল প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিজস্ব উপাস্য দেবতাই মুখ্য। নিজেদের ধর্মেকর্মে তাদের স্থান দিতে হবে সঠিক মান্যতার সঙ্গে। আন্তর্সসম্প্রদায়ে বিভক্ত ভারতবর্ষে শিব-র বিপুল জনপ্রিয়তার মূলেও এই তত্ত্বটি নিহিত রয়েছে। সে যাই হোক, শিবের বাহুবলী রূপও আমাদের মোহিত করে প্রকৃতির লড়াইয়ে। তাই শিবভক্তরা বাহুবলের প্রদর্শন করেন, তাঁর পুজোতে। শিব-র প্রথম উল্লেখ পাই রামায়ণে (খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-৩০০) এরপর মহাভারতে (খ্রিস্টপূর্ব ৭০০- খ্রিস্টাব্দ ১০০) শ্বেতাশ্বতর উপনিষদেও (৩০০ খ্রিস্টপূর্ব) শিবের উল্লেখ রয়েছে। শিব যেন বীরত্বের আগুন নিয়েই আমাদের সামনে এসেছেন।
সত্যই শিব সুন্দরই শিব
একসময়ে এই শিবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে যে ধর্ম, তার নাম শৈব ধর্ম। শৈবরা বেশ ক’টি উপসম্প্রদায়ে বিভক্ত যেমন : পশুপাত। এটি একটি অতি প্রাচীন ধারা। শিবের এই দেশে। বর্তমানে এই ধারাটি বিলুপ্ত হয়েছে। শৈবসিদ্ধান্ত সম্প্রদায়টি দক্ষিণ ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয় আজও। বীরশৈব সম্প্রদায়টি দক্ষিণ ভারতের আরও একটি শৈব সম্প্রদায়। শৈবদের পবিত্র গ্রন্থ শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে শিবকে পরম বাস্তব বলে উল্লেখ করা হয়। শৈব ধর্মটি একেশ্বরবাদী অপরদিকে ভক্তিবাদীও। ধর্মটির ব্যবহারিক দিক হল চর্যা, ক্রিয়া, যোগ এবং জ্ঞান। শৈবধর্মের মূলভিত্তি কপিল প্রবর্তিত সাংখ্য দর্শন। একে অনার্য দর্শনও বলে। তবে বৈদিক বেদান্তের দ্বৈতবাদী আর অদ্বৈতবাদী-র মতও শৈবধর্মে গুরুত্ব পায়। সত্যই শিব, সুন্দরই শিব।

আরও পড়ুন-উত্তর থেকে দক্ষিণে পাঁচটি মেগা জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দেবাদিদেব শিব
শিব সম্পর্কে এভাবেই শিবভক্তরা প্রবল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। চাণক্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের (খ্রিস্টপূর্ব ৩২১-২৯৭) মন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, সংসারে চারটি মাত্র সারবস্তু। কাশীবাস, সাধুজনের সঙ্গলাভ, গঙ্গা জল আর শিব পুজো। কাশী (যেখানে বিশ্বনাথ রয়েছেন), কাশী শিব-র লীলাভূমিও। গঙ্গা হলেন শিবের স্ত্রী। আর ধ্যানমগ্ন শিব তো একজন সর্বশ্রেষ্ঠ সাধু। শিব-র কোনও সত্তা নেই। তিনি সকল জীবে বিরাজমান বলেন আধ্যাত্মিকবাদীরা। শিব অদৃশ্য, তবে সর্বত্র দৃশ্য। মহাভারতে যুধিষ্ঠিরকে ভীষ্ম বলছেন,‍‘‍‘শিব ব্রহ্মা বিষ্ণু আর ইন্দ্রের সৃষ্টা এবং তাঁদের ঈশ্বরও বটে। তাঁকে ব্রহ্মা থেকে পিশাচ সকলেই পুজো করে। প্রকৃতি আর পুরুষে সর্বত্র বিরাজমান শিব। ঋষিরা সত্যকে উপলব্ধির আশায় যোগচর্চা করেন, তারা শিবের আরাধনা করেন।’’ কবি কালিদাসের চোখে শিব অনন্য। কবির চোখে হিমালয়ের তুষার শিবের হাসি। অদ্বৈতবাদী বেদান্ত দর্শনের প্রবর্তক শঙ্করাচার্য ছিলেন শৈবসাধক। শিব মূলত পূজিত হন দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী-অধ্যুষিত দক্ষিণ ভারতে। সেখানে সর্বাধিক। বিষ্ণু পূজিত হন আর্য-অধ্যুষিত উত্তর ভারতে। তবে উত্তর ভারতের চাণক্য বা কৌটিল্যের একটি উক্তিতে সর্বভারতীয় সমাজে শিব-র গুরুত্ব ফুটে উঠেছে।
শিব দেবাদিদেব। সমস্ত দেবতার মধ্যে তাঁকে মহাদেব বলা হয়। শুধু মনুষ্যই নয়, বরং দেবতারাও ভক্তিভরে শিবের পুজো করেন।

আরও পড়ুন-জামিন অযোগ্য মামলাই চিন্তার কারণ নির্বাচন কমিশনের

শিব বৈরাগী
শিবের বেশভূষা, আরাধনার পদ্ধতিও অন্য সমস্ত দেবতা থেকে পৃথক। যেখানে কেউ থাকতে পারে না, সেখানে বাস করেন মহাদেব। যে সামগ্রী-সহ অন্য কোনও দেবতা পুজো গ্রহণ করতে পারেন না, সেই সামগ্রী ব্যবহার করে শিবের পুজো করা হয়। শিব বৈরাগী। শ্মশানচারী। মাথায় চন্দ্রমা, গলায় সাপ, হাতে ত্রিশূল ধারণ করেন শিব। বাঘের ছালের ওপর আসন গ্রহণ করেন তিনি। শিবের এই বেশভূষার পিছনের রহস্য জানেন?
শিব সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে পরমসত্তা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-লয়রূপ তিন কারণের কারণ। পরমেশ্বর— তাঁর প্রণাম মন্ত্রেই বারবার উঠে এসেছে। তিনি জন্মরহিত, শাশ্বত, সর্বকারণের কারণ; তিনি স্ব-স্বরূপে বর্তমান। সমস্ত জ্যোতির জ্যোতি; তিনি তুরীয়, অন্ধকারের অতীত, আদি, অন্তবিহীন। পুরাণে ভগবান শিবের পোশাকের কথা বলা হয়েছে, যা অবাক করার মতো। ভগবান শিব গলায় সাপ, মাথায় চাঁদ, চুলের জটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গঙ্গার স্রোত, হাতে ত্রিশূল। সাথে ভগবান শিব বাঘের ছাল পরেন। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একবার শিব হাঁটতে হাঁটতে বনে গিয়েছিলেন। সেই বনে কয়েকজন ঋষি তাঁদের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তিনি যখন বনে জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছিলেন তাঁর পরনে কোনও পোশাক ছিল না। শিবের পুরুষালি চেহারা দেখে ঋষিদের স্ত্রীরা মুগ্ধ হয়ে পড়েন। দুর্বল এবং আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন। তাঁরা শিবকে তখন মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুসারে, ওইসব ঋষিরা মহাদেব শিবের ভ্রমণের পথে একটা বড় গর্ত খুঁড়লেন এবং তাতে একটি বাঘও ছেড়ে রাখলেন। তবে মহাদেবের অসীম শক্তি সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধারণা ছিল না।
তৎক্ষণাৎ বাঘটিকে হত্যা করে বাঘের ছাল ছাড়িয়ে পরিধান করলেন। আর তখন থেকেই তিনি কেবলমাত্র বাঘের ছাল পরে থাকতেন। এই ঘটনা ঋষিরা দেখে আশ্চর্য হয়ে পড়েন। তাঁরা বুঝতে পারেন তিনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা মহাদেবের চরণে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর সাপ নির্ভীক আর শক্তির প্রতীক। সমুদ্রমন্থন কালের কণ্ঠে তাঁর বিষের জ্বালা সারাতেও সাপকে কণ্ঠে নিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিরোধীদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে

বৌদ্ধযুগে শিব
ভারতবর্ষে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ থেকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত বৌদ্ধধর্মই প্রধান ধর্ম ছিল। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই একহাজার বছরকে বৌদ্ধযুগ বলা হয়। বৌদ্ধযুগে বুদ্ধ শিবে-র স্থানে বসেছিলেন। সে-সময়ে শিব আড়ালে ছিলেন; তবে শিব একেবারে নির্বাসিত হননি। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের দিকে হীনযান-মহাযান মতভেদ, নিরীশ্বরবাদ আর তন্ত্রের প্রাধান্য, শঙ্করাচার্যের বৌদ্ধবিরোধী আন্দোলনের জন্য বৌদ্ধধর্মের অবক্ষয় শুরু হয়। অন্যদিকে শুরু হয় পৌরাণিক যুগ। সে-সময়ে লেখা হয় পুরাণগুলি। সেই পুরাণগুলি হিন্দুধর্মের ভিত মজবুত করে। এই সময়েই ব্রাহ্মণ্যধর্মের পুনরুত্থান ঘটে। এই জন্য আর্যপূর্ব শৈবধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে সমঝোতা শুরু হয়। এইরকম সময়ে শিব পুনরায় বুদ্ধের স্থান অধিকার করেন। ভারতবর্ষের গ্রামীণ সমাজে সে সময়ই হিন্দুধর্মের শক্ত ভিত রচিত হয়। পৌরাণিক যুগে শিব তাঁর পরিবার-সহ হিন্দু মনে চিরস্থায়ী আসন দখল করে। শিব পরিণত হন পরিপূর্ণ দেবতায়। পার্বতী, উমা, গঙ্গা, দুর্গা ও কালী— এঁরা শিবের স্ত্রীরূপে কল্পিত হন। সেই সঙ্গে শিবের দুই পুত্র— গণেশ এবং কার্তিক। কন্যাদের মধ্যে মনসা, লক্ষ্মী। বাংলার লোকায়ত দেবদেবী মূলত বৌদ্ধদেরই কল্পিত। পরবর্তীকালে বৌদ্ধযুগের অবসানে এই লোকায়ত দেবদেবী শিবের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
শিবই শ্রেষ্ঠ, তিনিই স্বয়ম্ভূ
ত্রিলোকনাথ পরমেশ। বেদব্যাসের ‘বৃহৎ শিবপুরাণ’-এ (অনুবাদ: কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন) লেখা রয়েছে— ‘শিব হতে শ্রেষ্ঠতর কিছুমাত্র নাই। শ্রীশিব সবার শ্রেষ্ঠ জানিবে সবাই।।’ এই শিবই শস্যশ্যামল বাংলার বুকে স্ফীত পেট, গোঁফ-দাড়িময় ভোলানাথ। নবান্ন উৎসবে মা অন্নপূর্ণার পাশে তাঁর আবির্ভাব ঘটে ভিখারি হিসেবে। বঙ্গসংস্কৃতিতে তিনি মিশে গিয়েছেন সেই কবে থেকে। সভ্যতার উন্মেষ থেকেই তিনি আরাধ্য দেব। তিনি যেন আমাদেরই প্রতিনিধি। অনেকেই বলেন বিশ্বপতি তিনি।
‘বৃহৎ শিবপুরাণ’ অনুযায়ী ‘কল্পে কল্পে ব্রহ্মা বিষ্ণু লভেন জনম। কল্পে কল্পে হয় সর্ব বিশ্বের সৃজন। এরূপে সবার সৃষ্টি করি মহেশ্বর। সংহার করেন পুনঃ দেবাদেব হর।’ ত্রিদেবের ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের মধ্যে প্রাচীনতম শিবই। তিনিই বাকিদের সৃষ্টি করেছিলেন। শিবপুরাণ তেমনই বলছে। তিনি স্বয়ম্ভূ। তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজেই নিজেই উদ্ভূত হয়েছিলেন। অনন্ত লিঙ্গ তিনিই। যখন সৃষ্টি ছিল না, তিনি ছিলেন তখনও। তাই তিনি পাথরের দেবতা। আবার যখন সব ধ্বংস হয়ে যাবে, তখনও থেকে যাবেন তিনিই। ভোলানাথের মাথায় চন্দ্রের স্থানলাভের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি কাহিনির উল্লেখ মেলে। প্রথম কাহিনি রাজা দক্ষ আর তাঁর ৬০ কন্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরাণ অনুযায়ী রাজা দক্ষের মোট ৬০টি কন্যাসন্তান ছিল। ২৭ জন কন্যার বিবাহ হয় চন্দ্রের সঙ্গে। ২৭ স্ত্রীর মধ্যে রোহিণীকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন চন্দ্র। এই কারণে অন্যান্য স্ত্রীরা তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ থাকতেন। এই কথা শোনার পর ক্ষুব্ধ দক্ষ, চন্দ্রকে ক্ষয়রোগের অভিশাপ দিয়ে বসেন তিনি। এই ক্ষয়রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভোলানাথের কঠোর তপস্যা করেন চন্দ্র। চন্দ্রের তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে শিব তাঁকে অভিশাপ থেকে মুক্তি দেন। এই কাহিনি অনুযায়ী সমুদ্রমন্থনের ফলে যে বিষ বের হয়, তাঁকে শিব নিজের কণ্ঠে ধারণ করে নেন। সেসময় বিষের প্রভাবে তাঁর শরীর জ্বলতে শুরু করে। শরীরের তাপমাত্রা কম করার জন্য নিজের মস্তকে চন্দ্র ধারণ করে নেন তিনি। এর ফলে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এসব কিছুই সৃষ্টির স্থিতি। আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে, কৃষকের আরাধ্য দেবতা শিব। ভয় থেকেই তাঁকে আমরা বরণ করেছি। সেই শিবকে যোগ, ধ্যান আর শিল্পকলার দেবতাও ধরা হয়। এছাড়াও শিব চিকিৎসাবিদ্যা, কৃষিবিদ্যারও আবিষ্কারক বলে মনে করা হয়। ভিতরের শক্তিই যেন শিবকে আরও আমাদের কাছে উজ্জ্বল করেছে। আলোকিত করেছে।
ছবি ঋণ: অমিতাভ নস্কর

Latest article