প্রতিবেদন : চা-বলয়ে তৈরি হল নতুন ইতিহাস। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স, শিশুদের জন্য ক্রেশ এবং চা-শ্রমিকদের (Tea Workers) এই প্রথম দেওয়া হল পরিচয়পত্র এবং পে স্লিপ। পুজোর আগে মিলেছে বোনাসও। এবার এই নতুন উপহার পেয়ে উৎসবের মেজাজ চা-বলয়ে। শ্রমিক-কর্মীদের পরিবার আনন্দে মাতোয়ারা। শনিবার জলপাইগুড়ির বাগরাকোট ও মানাবাড়ি চা-বাগানে শ্রমিকদের হাতে পে স্লিপ ও পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়। গত শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে ধুমতিপাড়া চা-বাগানে সতেরশোর বেশি শ্রমিককে পে স্লিপ ও পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এককথায় শ্রমিকেরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন।
আরও পড়ুন-সময়ের অপেক্ষা, আগামিকাল রাজ্যজুড়ে ২০০টিরও বেশি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
গত মাসের ১১ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিক-কর্মচারীদের (Tea Workers) জন্য পরিচয়পত্র, পে স্লিপ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিতে ১০০ দিন সময় দিয়েছিলেন। তার আগেই শ্রমমন্ত্রী মলক ঘটক, আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী পুলক রায় সেই কাজ শুরু করে দিলেন। যা বাংলার বুকে বলা যায় নতুন মাইলফলক। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত চা-শ্রমিকদের মজুরি ছিল মাত্র ৬৭ টাকা। পরিবর্তন সরকার আসার পর সেই মজুরি এখন বেড়ে দাঁডি়য়েছে ২৩২ টাকা। সেই সঙ্গে বাগানে পরিবারপিছু ৩৫ কেজি করে চাল বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে অসমের বিজেপি সরকার পরিবারপিছু দিয়ে থাকে মাত্র ২০ কেজি করে চাল। আর এই চাল কিনতে ৯ টাকা করে দাম দিতে হয়। বিজেপির যেখানে শোষণ নীতি, সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঋতব্রত এদিন বলেন, ‘আমরা শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশে তা আবারও প্রমাণিত হল। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, শিশুদের জন্য ক্রেশ এবং পে স্লিপ ও পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু হয়ে গেল। স্বচ্ছতার সঙ্গেই এই কাজ চলছে।’