প্রতিবেদন : রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের ধারা জনপ্রতিনিধি আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। যার অধীনে রাহুল গান্ধীর সংসদ পদকে নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল এবার সেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ এর ধারা ৮(৩) এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি আবেদন দায়ের করা হয়েছে। তবে মানহানি মামলায় দু’বছর জেলের সাজা হতেই খারিজ হয় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। শুক্রবার তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)।
আরও পড়ুন: মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন, তাই নিশানা
কেরলের বাসিন্দা সমাজকর্মী পণ্ডিত আভা মুরলীধরনের দায়ের করা পিটিশনে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ র ধারা ৮(৩) এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। তিনি তাঁর দায়ের করা পিটিশনে বলেছেন, সংসদ সদস্যরা জনগণের কণ্ঠস্বর। তাঁরা বাক্স্বাধীনতার অধিকার এবং লক্ষ লক্ষ সমর্থকের মত প্রকাশের অধিকারকে প্রতিনিধিত্ব করেন যারা তাঁদের নির্বাচিত করেছে। নির্বাচিত সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা সংবিধানে সংরক্ষিত আছে এবং এটি রক্ষা করা প্রয়োজন। পিটিশনে আরও বলা হয়েছে যে, লিলি থমাস বনাম দ্য ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়াতে সুপ্রিম কোর্টের যে রায় তা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
আবেদন অনুসারে, আইনটি পাশ করার সময় আইনসভার উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচিত সদস্যদের অযোগ্য ঘোষণা করা, যাঁরা গুরুতর বা জঘন্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অযোগ্যতার কারণগুলি ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) অধীনে নির্দিষ্ট করা অপরাধের প্রকৃতির সঙ্গে নির্দিষ্ট হওয়া উচিত।