প্রতিবেদন : যোগীরাজ্যে গেরুয়া বাহিনীর গুন্ডামির ছবি ফের প্রকাশ্যে। মহিলাদের অপহরণ করে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন তথাকথিত এক মহন্ত। তাঁর পরনে গেরুয়াবস্ত্র। মুখে সাম্প্রদায়িক উসকানি। মাইক হাতে প্রকাশ্যে লাগাতার ঘৃণা ও বিদ্বেষের বিষ ছড়াচ্ছেন। সেই ভাষণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। সেই ছবি এতটাই ভয়ংকর যে, জাতীয় মহিলা কমিশন শীতঘুম ভেঙে ঘটনার ছ’দিন পর ওই মহন্তকে গ্রেফতারের দাবি তুলতে বাধ্য হয়েছে। ভিডিওর ওই মহন্ত উদাসীন আশ্রমের মহর্ষি লক্ষ্মণ দাস বলে জানা যাচ্ছে। কমিশনের বক্তব্য, পুলিশ এই বর্বরোচিত ঘটনায় মূক ও বধির দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারে না। কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও পড়ুন-টাকা দিলেই মিলবে ১৮-ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ
প্রবল বিতর্ক, সর্বস্তরে তীব্র সমালোচনার জেরেই যে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন, তা বলাই বাহুল্য। জানা যাচ্ছে, সর্বস্তরে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর বাধ্য হয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। লখনউ থেকে ১০০ কিমি দূরে সীতাপুর জেলার জনপদ, খয়রাবাদ। অভিযোগ, সেখানেই একটি ধর্মীয় স্থানের বাইরে ওই গুণধর সাধু ও তাঁর চেলারা জমায়েত করেন। শুরু হয় লাগাতার কুৎসিত, অশালীন, সাম্প্রদায়িক মন্তব্য। লক্ষ্মণ দাস যখন ওই বিদ্বেষপূর্ণ, উসকানিমূলক ভাষণ দিচ্ছেন, ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক উর্দিধারী পুলিশকর্মী সেখানে দাঁড়িয়ে। কোনও হেলদোল নেই, স্রেফ দর্শক।
আরও পড়ুন-অপরিবর্তিত রেপো রেট
খবরের সত্যতা যাচাইকারী সংস্থা অল্ট নিউজের অন্যতম মাথা মহম্মদ জুবেইর তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করেন। তাঁর দাবি, এই ভিডিও ২ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৬ দিন। তারপরেও পুলিশ-প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে বিতর্কের কেন্দ্রে সীতাপুর জেলার পুলিশ। যোগী প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নিন্দার ঝড়।