সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় জলোচ্ছ্বাসের জেরে বিপর্যস্ত কাকদ্বীপ মহকুমা। বৃহস্পতিবার বেলা দশটা নাগাদ সাগরের বঙ্কিমনগরের মাটির বাঁধ পুরোপুরি ধুয়েমুছে গিয়েছে। প্লাবিত বাঁধের কাছাকাছি থাকা অন্তত পঞ্চাশটি বাড়ি। বাড়ির জিনিসপত্র জলের তলায়। প্রশাসন দুর্গতদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করছে। মহকুমা প্রশাসন সেচ আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেচ দফতর বাঁশ, মাটির বস্তা দিতেই গ্রামবাসীরা বাঁধ মেরামতিতে হাত লাগিয়েছেন।
আরও পড়ুন-তৎপর প্রশাসন বাঁধ মেরামতি করছে, দুর্গতদের দিচ্ছে সাহায্য, দিঘায় নিষেধাজ্ঞা
এদিন রাতে ও শুক্রবার সকালেও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। ব্লক প্রশাসন শুকনো খাবার ও ত্রিপলের ব্যবস্থা করেছে। জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতট। কংক্রিটের গার্ডওয়াল টপকে কপিলমুনি মন্দিরের সামনের একাধিক দোকানে জল ঢুকছে। ভেঙেছে বাতিস্তম্ভ, উপড়েছে গাছ। এদিন সকাল থেকে সুন্দরবন উপকূল এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা বাতাস বইছে। বুধবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। শুক্রবারও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
আরও পড়ুন-অরণ্য সপ্তাহের সূচনা মৎস্যমন্ত্রীর
কোটাল ও দমকা বাতাসে একাধিক নদী ও সমুদ্রবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্কিমনগর, বোটখালি ও মহিষামারির বাঁধ। কয়েকশো মিটার ধুয়েমুছে গিয়েছে। নামখানার ঈশ্বরীপুরে বাঁধেও ফাটল। আশঙ্কায় বাসিন্দারা। সকাল থেকে বকখালি সমুদ্রতটে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা পর্যটকদের সতর্ক করছেন।