গৌতম মণ্ডল, সুন্দরবন: কখনও তিন শাবককে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘিনী। কখনও সঙ্গীকে নিয়ে সাঁতরে নদী পার হচ্ছে জোড়া বাঘ। আবার নদী সাঁতরে জঙ্গলে ঢুকে পড়ছে ডোরা কাটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গত দু’মাসে সুন্দরবনের নদী, খাঁড়িতে বারে বারে দেখা মিলেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। আর বাঘ দর্শনের সংখ্যা বাড়তে থাকায় নরম শীত গায়ে মেখে সুন্দরবনে ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকদের দল। দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা।
আরও পড়ুন-বীরভূমের খরুন গ্রাম পঞ্চায়েত পানীয় জল থেকে রাস্তা, উন্নয়নের ছোঁয়া সর্বত্র
গত দু’বছর করোনা অতিমারির জন্য লকডাউনে সুন্দরবন ভ্রমণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এইসময় সুন্দরবনের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেই খুবই অসুবিধার মধ্যে দিন কাটে। কিন্তু করোনার প্রকোপ কমার পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে পর্যটন ব্যবসা। ক্যানিং, কুলতলি, গোসাবার লঞ্চ মালিকদের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। চলতি বছর পুজোর পর থেকে পর্যটকের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে গত দু’মাসে সজনেখালি অঞ্চলে একাধিকবার পর্যটকদের ক্যামেরায় বাঘ ধরা পড়ায় উৎসাহী পর্যটক বেড়েছে।
আরও পড়ুন-গ্রাহক সচেতনতায় দুয়ারে সরকার
ক্যানিংয়ের এক লঞ্চ মালিক সোমনাথ মণ্ডল জানালেন, ‘‘লকডাউনে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে পর্যটন ব্যবসা। এখন মাসের বেশিরভাগ দিন বুকিং পাচ্ছি। আর বাঘের দেখা মেলায় আরও আগ্রহ বেড়েছে। পুরো শীত পর্যটকরা আসবেন।’’ বারুইপুরের এক পর্যটক দল গত সপ্তাহে পিরখালির জঙ্গলে বাঘ দেখতে পান। বাঘটি নদী সাঁতরে পার হচ্ছিল। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দিও করে। সেই পর্যটক দলের এক সদস্য বাপি নস্কর জানালেন, ‘‘সুন্দরবনে বেড়াতে যাওয়ার মূল লক্ষ্য থাকে বাঘ দেখার জন্য। কিন্তু সবার ভাগ্যে তা হয় না। আমাদের ভাগ্যে ছিল, তাই দেখতে পেয়েছি। তবে আগের থেকে এখন অনেক বেশি বাঘ দর্শন হচ্ছে।’’