হাবিবুলের পরিবারের পাশে তৃণমূল

Must read

প্রতিবেদন : গুজরাতের মোরবিতে ব্রিজ-বিপর্যয়ে মৃত এ-রাজ্যের বর্ধমানের পূর্বস্থলীর হাবিবুল শেখের (Habibul Sheikh- TMC) পরিবারের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ব্রিজ-বিপর্যয়ে যখন ১৪১ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন, তখন সবদিক থেকেই ব্যর্থ ডাবল ইঞ্জিন সরকার খাবি খাচ্ছে। সাধারণ মানুষের পাশেও দাঁড়াতে পারেনি। সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারেনি। উদ্ধার-অভিযান বলেও কিছু ছিল না। সেইসময় গুজরাত সরকারের চূড়ান্ত গাফিলতির কারণে ব্রিজ-দুর্ঘটনায় এ-রাজ্যের হাবিবুলের মৃত্যু হয়েছে। এ-খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে হাবিবুলের বাড়িতে হাজির হন স্থানীয় তৃণনূল কংগ্রেস বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার ও প্রশাসন সবরকমভাবে এই পারিবারের পাশে রয়েছে। গুজরাট থেকে এ-রাজ্যে হাবিবুলের মৃতদেহ আনার ক্ষেত্রেও প্রশাসন সবরকম সাহায্য করবে এই হতভাগ্য পরিবারটিকে।
শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, ‘যে-ব্রিজ মেরামতির পর মাত্র চারদিন আগে খুলে দেওয়া হল, সেটা এত কম সময়ে ভাঙল কী করে? দিলীপ ঘোষ-সুকান্ত মজুমদাররা জবাব দেবেন কি?’

আরও পড়ুন-শোকপ্রকাশ করে তৃণমূল বলল, সাহস থাকলে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বলা সেই চারটি লাইন গুজরাতেও বলুন

রবিবার সন্ধ্যায় মোরবি কেবল-সেতু ভেঙে মৃতদের মিছিলে ছিল বছর আঠারোর হাবিবুলও (Habibul Sheikh- TMC)। মাত্র ১০ মাস আগে কাকার গয়নার দোকানে কাজ করতে গুজরাটের মোরবি গিয়েছিল। রবিবার ছুটি বলে বিকেলে মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানে ছিল বহু মানুষ। সন্ধের মুখে আচমকা ভেঙে পড়ে ব্রিজ। হাবিবুল ঘরে না ফেরায় কাকা সাহিবুল শেখ খুঁজতে বের হন। স্তূপাকৃতি মৃতদেহ থেকে ভাইপোকে শনাক্ত করেন। হাবিবুলের খবর গ্রামের বাড়িতে আসে রাত ১১টা নাগাদ। শুধু পরিবারই নয়, শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। আশপাশের গ্রাম থেকেও লোকজন আসতে শুরু করে। একমাত্র ছেলেকে অকালে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা মহিবুল শেখ ও মা লুৎফা বিবি।
জানা গিয়েছে সোমবার গুজরাটের আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ হাবিবুলের দেহ বিমানে তোলা হবে। দমদম হয়ে কেশববাটি পৌঁছতে রাত ১১টা হবে। মঙ্গলবার গ্রামের কবরস্থানেই সমাহিত করা হবে হাবিবুলকে।

Latest article