প্রতিবেদন : দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিশ্বভারতীতে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নেতৃত্বে ফলকে শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফেরানোর দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন তৃতীয় দিনে পড়ল। তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সংগঠন ও বিশ্বভারতী ইউনিটের ছাত্রছাত্রীরা হাজির হন আন্দোলনে। রবিবার ধরনামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন-অন্ধ্রে ২ ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ৬, দেওয়া হল হেল্পলাইন নম্বর
আশ্রমিক থেকে অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের একাংশ এই ফলক ইস্যুতে উপাচার্যর অপসারণের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক, আচার্য, প্রধান-সহ মানবসম্পদ মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছেন। ফলক বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিদ্বজ্জনেরাও মুখ খুলেছেন। অপদার্থ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিজেপির দালালি করতে গিয়ে তাদের নির্দেশে কার্যত দফতর খুলে বসেছেন বিশ্বভারতীতে। কতখানি ঘৃণ্য ও গায়ের চামড়া মোটা হলে বিশ্বভারতীর হেরিটেজ ফলকে বিশ্বকবির নাম বাদ দিয়ে নিজের ও প্রধানমন্ত্রীর নাম রেখে আত্মপ্রচারে মগ্ন হন। উপাচার্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একটার পর একটা বিতর্কে জড়িয়েছেন নিজেকে। আসল উদ্দেশ্য বিজেপি এজেন্ডাকে তুলে ধরা। নিজের মেয়াদ বাড়ানো। তৃণমূল সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলা। তাঁবেদার-উমেদার ছাড়া বাকিদের বিশ্বভারতী থেকে তাড়ানো। আশ্রমিকদের অসম্মান-অপমান করা।
আরও পড়ুন-গাজায় মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার অতিক্রম করল, অধিকাংশ শিশু
অমর্ত্য সেনের মানুষকে অযাচিতভাবে হেয় করা। এসবই বুঝিয়ে দেয় বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলে আসলে বোঝাতে চাওয়া বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এ-ভূভারতে আর কোনও ভাল কাজ কেউ করেনি। ইতিহাসও শুরু হয়েছে ২০১৪ থেকেই। তার আগে মুনি-ঋষিরা যা করেছেন তাকে ভুলিয়ে দাও। ইতিহাস ভুলিয়ে দাও। নতুন করে ইতিহাস তৈরি কর। যে কারণে প্রতিপদে বিশ্বভারতীর মতো জায়গাকেও কলুষিত করছে উপচার্য।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্য দিবালোকে কুলচা দোকানের মালিককে গুলি করে হত্যা
এদিন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে বাঙালির মন থেকে রবীন্দ্রনাথকে বাদ দেওয়া যাবে না। যতদিন বাঙালি থাকবে, ততদিন রবীন্দ্রনাথ বাঙালির হৃদয়ে থাকবে। ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম না ফেরালে তৃণমূল বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।