শীতকালীন অধিবেশনের আগেই সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রকে চাপে ফেলল তৃণমূল

Must read

৪ ডিসেম্বর থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting) কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চাপে ফেলতে বেশ কিছু ইস্যুকে হাতিয়ার করল তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদে অধিবেশনের আগে এই সর্বদল বৈঠকে ৬ ইস্যু তুলে ধরলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূলের তরফে যে ৬ ইস্যু সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting) তুলে ধরা হয়েছে তা হল…

* প্রথমত, কেন্দ্র সংসদ অধিবেশনের আগের সর্বদল বৈঠক ডেকে শুধুই সময় নষ্ট করছে। এতে কাজের কাজ হয় না। আগের বারও সরকার অধিবেশনের মাঝপথে হঠাৎ করে বিল পেশ করে পাশ করিয়ে নিয়েছে।

* দুই, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, দণ্ড সংহিতা এবং সাক্ষ্য আইন, এই তিনটি আইন যেন এই অধিবেশনে পাশ করানো না হয়। এগুলোতে অনেক সংশোধন প্রয়োজন। কোনওরকম তাড়াহুড়ো ঠিক নয়।

* তিন, ১০০ দিনের কাজ থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বরাদ্দ, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় তৃণমূল কংগ্রেস।

* চতুর্থ দাবি, সরকার যেন এই অধিবেশন শুধু নিজেদের পিঠ চাপড়ানোর কাজে না ব্যবহার করে। মূল্যবৃদ্ধি-বেকারত্বের মতো ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়।

* পঞ্চম দাবি, সংসদের কোনও কমিটির রিপোর্ট পেশের আগে যেন ফাঁস না হয়। মহুয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: মিজোরামে ভোটের ফল প্রকাশিত হবে না ৩ ডিসেম্বর, কী জানাল কমিশন

* সবশেষে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, তাঁরা সংসদে আলোচনা চায়। সরকার যেন কোনও অজুহাতে পিঠ বাঁচাতে অধিবেশন ভণ্ডুল না করে দেয়।

সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এই সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৩টি দল ৩০ জন নেতা। সেখানে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা সব বিরোধী দলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেছে। উল্লেখ্য, আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে মোট ১৫দিনের জন্য।

Latest article