বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ, দিল্লিতে গর্জে উঠল তৃণমূল

নারীসুরক্ষা নিয়ে উপদেশ নির্লজ্জ বিজেপির! তোপ

Must read

প্রতিবেদন : বাংলার মানুষের ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রাজ্যের প্রতি লাগাতার বঞ্চনা করছে মোদি সরকার। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন আসলে বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আরও একবার তা স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দিল্লিতে (Delhi TMC) সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যসভায় সদ্য নির্বাচিত তৃণমূলের দুই সদস্য সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব এবং দলের আরেক সাংসদ সাকেত গোখেল প্রশ্ন তুললেন, বাংলায় বিজেপির যখন মাত্র দু’জন সাংসদ ছিলেন তখন তো রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রাখার সাহস পায়নি কেন্দ্র! কিন্তু এখন ১৮ জন গেরুয়া সাংসদ থাকা সত্ত্বেও এই বঞ্চনা কেন? এর অর্থ বিজেপি জিতলে রাজ্যের বঞ্চনা আরও বাড়বে। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতি এবং ভোটের মুখে আধার বাতিলের চক্রান্তের বিরুদ্ধেও সরব হলেন সাগরিকা, সুস্মিতা এবং সাকেত। ১০ মার্চ ব্রিগেডের ঐতিহাসিক জনসভা ‘জনগর্জন’ যে এরই প্রতিবাদে তা ব্যাখ্যা করেন তাঁরা।

বঞ্চনার বিরুদ্ধে সওয়াল
তথ্য তুলে ধরে এদিন কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সওয়াল করলেন সাগরিকা ঘোষ। কর বাবদ রাজ্য থেকে ৪.৩৬ লক্ষ টাকা নিয়ে গেলেও রাজ্যের ন্যায্য পাওনা ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজ করেও মজুরি পাননি বাংলার প্রায় ৫৯ লক্ষ শ্রমিক। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় ১১.৩৬ লক্ষ মানুষ ঘর পাচ্ছেন না। এই কাজ সার্বিক সংবিধানবিরোধী। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে মৌলিক অধিকার। ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর উদ্যোগে রাজ্যই মিটিয়ে দিচ্ছে মানুষের ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা। সাকেত গোখেলের কথায়, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পরে বাংলার মানুষের মুখোমুখি হওয়ার সাহস পাননি মোদি। বাংলার মানুষের পাওনা টাকা কেন দিচ্ছে না কেন্দ্র, এই অপ্রীতিকর প্রশ্নের মুখে পড়ার ভয়ে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে আবার বাংলায় আসার জন্য নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন তিনি। সাহস থাকলে বাংলায় এসে মানুষের প্রশ্নের জবাব দিন।

আরও পড়ুন- সন্দেশখালি : জমি ফেরত পেলেন ২৩৯ জন

সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখছে গদ্দার
মোদির আসার অপেক্ষাতেই যে সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতে চাইছে গদ্দার এবং বিজেপি, তা স্পষ্ট করে দেন সাকেতরা। বলেন, সত্যি হল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই। হাইকোর্ট আগেই বলেছিল শাহজাহান মামলায় পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। কিন্তু অভিষেক বলার পরেই আদালত জানিয়ে দিল রাজ্য পুলিশের পদক্ষেপ করতে কোনও কোনও বাধা নেই। মানুষের সম্মানরক্ষা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোনও দল দেখেন না তা মনে করিয়ে দিলেন সুস্মিতা দেবও।

কেন বাতিল আধার কার্ড?
আধার কার্ড বাতিলের ব্যাপারেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সাগরিকা ঘোষের মন্তব্য, নাগরিকদের মৌলিক পরিচয়পত্রটাও কেড়ে নিতে চাইছে ওরা। ১০ মার্চ ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় কেন্দ্রের লাগাতার বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমজনতা গর্জে উঠবেন বলে মন্তব্য সুস্মিতা দেবের। তাঁর কটাক্ষ, ‘বহিরাগত জমিদার’ মোদির স্বেচ্ছাচার এবং বাংলার প্রতি বঞ্চনার ব্যাপারে নীরব কেন রাজ্যের গেরুয়া সাংসদরা?

Latest article