ইনি প্রধানমন্ত্রী না প্রচারমন্ত্রী? মুখে শুধু আমি আর আমি!

তীব্র খোঁচা তৃণমূলের

Must read

প্রতিবেদন: এক আত্মম্ভরী আর আত্মপ্রেমে মগ্ন প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদি। যাঁর মুখে সবসময় শুধু আমি আর আমি। এছাড়া আর কোনও বুলি নেই! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর নিজের গুণকীর্তন করার বহর দেখে তাঁকে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানাল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের (TMC) তীব্র কটাক্ষ, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রচারমন্ত্রী বললেও অত্যুক্তি হয় না।

সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে কেউই জানতেন না মোদিকে। তবুও তাঁরা আমাকে ভোটে জিতিয়েছিলেন বিরাট জনাদেশে। পরের দশ বছরে তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন সর্বত্রই কমবেশি মোদি রয়েছে। সে চন্দ্রযান মিশন হোক কিংবা আমার সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে। এখন তাঁরা আমাকে ভাল করেই চেনেন। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে মানুষ এবারও সঠিক নির্বাচনই করবেন। মোদির এই নির্লজ্জ আত্মপ্রচারের নমুনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রিয় বিনোদন হল আত্মমগ্নতা, নিজের উন্নয়ন ও স্ব-চাটুকারিতা। আমরা বিভ্রান্ত, তিনি প্রধানমন্ত্রী নাকি প্রচারমন্ত্রী? এই শ্লেষের পাশাপাশি সিনেমার পোস্টারের ধাঁচে একটি ছবিও পোস্ট করা হয় তৃণমূলের তরফে। সেখানে সিনেমার নামের জায়গায় লেখা, ‘I, ME, MYSELF’। আর সিনেমার প্রাপ্ত পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে, ‘সেরা জুমলা পুরস্কার’, ‘সেরা পিআর পুরস্কার’ এবং ‘সেরা মিথ্যাচারিতার পুরস্কার’। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দেশের নাম সরকারিভাবে ভারত করা হবে বলে সম্প্রতি জল্পনা তৈরি হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির তরফে যে আমন্ত্রণপত্র তৈরি হয়েছে, সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। যা নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নাম বদলের চেষ্টার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলিও। এই প্রেক্ষাপটে সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পরপর সাক্ষাৎকার আসলে ভোটের মুখে জনমানসে মোদি-ব্র্যান্ডকে তুলে ধরার প্রচার ছাড়া কিছু নয়।

আরও পড়ুন- চন্দ্রযানে বিপুল খরচ তাই রেশনে বরাদ্দ কম!

Latest article