আজ মহাষ্টমী

Must read

প্রতিবেদন : কখনও চড়া রোদ, কখনও রিমঝিম বৃষ্টি। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কোথাও আবার বর্ষণধারার দাপটটা কিছুটা বেশিই। এই নিয়েই রবিবার বেশ কাটল মহাসপ্তমী। কেউ রাজপথে গা ভাসিয়েছেন আনন্দের স্রোতে, কেউবা আবার ঘরে বসেই প্রতিমা দর্শন করেছেন লাইভ স্ট্রিমিং প্রযুক্তিতে। তবে ভিড়ে ঘাটতি নেই এতটুকু। এবারে মহাষ্টমীর (Durga Puja- Ashtami) আনন্দ উপভোগের পালা। শুধু আনন্দের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়া নয়, উমাবন্দনায় আজ সোমবারের মহাষ্টমী তিথি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণও বটে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শুরু অষ্টমী পুজো এবং তারপরেই অঞ্জলি। এদিনের শাস্ত্রীয় আচারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কুমারীপুজো (Durga Puja- Ashtami)। বেলুড় মঠে এই কুমারীপুজোই ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিকেল হতে না হতেই বেজে উঠবে গভীর মনোযোগের সন্ধিপুজোর ঢাক। এই অষ্টমীর সন্ধ্যার জন্যই বেশিরভাগ আনন্দপিপাসু তুলে রাখেন সবচেয়ে পছন্দের পুজোর পোশাক। রবিবার সপ্তমী তিথিতে উদ্দীপনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে শহরের হাত ধরে গ্রামবাংলাতেও। কলকাতা মহানগরীর সঙ্গে রীতিমতো তাল ঠুকে পাল্লা দিয়েছে দূরের জেলাশহরগুলিও। ফুটে উঠেছে নিখাদ বনেদিয়ানার ঐতিহ্যের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। ৩০০ বছরের রীতি। মালদার চাঁচলের রাজবাড়ি থেকে দেবী সিংহবাহিনী সপ্তমীর সকালে পৌঁছে গেলেন পাহাড়পুরের চণ্ডীমন্দিরে। ৪ দিন দেবী চণ্ডীরূপে পূজিত হয়ে দশমীতে ফিরবেন রাজবাড়িতেই। মুর্শিদাবাদ কাশিমবাজার রাজবাড়ির পুরোহিত হেঁটে গেলেন পাতালেশ্বরের সতীদাহ ঘাটে। কলাবউকে স্নান করিয়ে ঘটে জল ভরে রাজবাড়িতে ফিরে দেবীর চক্ষুদান করে প্রাণপ্রতিষ্ঠার পালা। মা দুর্গার ৪ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পিতৃগৃহে পদার্পণ সপ্তমীতেই। নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে দেবীকে ন’টি বৃক্ষ হিসেবে কল্পনা করা হয়। সেই উপলক্ষে কলকাতা-হাওড়ার যমজনগরীতে গঙ্গার ঘাটেঘাটে উপচে পড়েছিল ভিড়। ফিরে ষোড়শ উপাচারে দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা। বনগাঁর ৩ নম্বর টালিখোলা এগিয়ে চলো সংঘের পুজোয় এবারে সবুজের বার্তা। মণ্ডপ দুবাইয়ের মিরাকল গার্ডেনের অনুকরণে। বাগবাজার সর্বজনীন থেকে একডালিয়া এভারগ্রিন, দেশপ্রিয় পার্কে সকাল থেকেই জনতার ঢল।

আরও পড়ুন-রঘুনাথগঞ্জের ৪০০ বছরের পেটকাটি দুর্গা

Latest article